শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
মো: শাহ সুজা উদ্দিনঃ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও প্রাথমিক শিক্ষাকে মানসম্মত অবস্থায় পৌঁছাতে আমরা এখনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রয়েছি। আগেকার দিনের সেই আন্তরিক শিক্ষক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে গেছে। পূর্বেকার গোলপাতার ছাউনি দিয়ে ঘেরা সেই পাঠশালায় যেভাবে পরম স্নেহ ও মমতায় পাঠদান হতো, আজকাল সুউচ্চ প্রাসাদ অট্টালিকায় সুসজ্জিত শ্রেণিকক্ষে কজনই বা পিতৃস্নেহে বা মাতৃস্নেহে পাঠদান করান? আগেকার দিনের অভিভাবক ভর্তির সময় সন্তানকে বিদ্যালয়ে শিক্ষকের হাতে দিয়ে বলতো “আমরা বানাই ভুত শিক্ষকরা বানায় পুত।”এখন সেই শ্রদ্ধাবোধ অভিভাবকদের মধ্যে দেখছি না।এটার জন্য হয়তো শিক্ষকরাই দায়ী।আর এখন অভিভাবক তার সন্তানকে শাসন করার দায়ে শিক্ষককে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেও বিবেক বাঁধা দেয়না।আশির দশকের সেই পাঠশালার মধু মাখা শাসন এখন উঠে গেছে। সুউচ্চ প্রাসাদ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ল্যাপটপ, প্রজেক্টের অথচ নেই শুধু শিক্ষকদের এবং অভিভাবকদের আন্তরিকতা আর আত্মত্যাগ। স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ,কার,ফলা দিয়ে যুক্ত ছিলো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় সঙ্গে ছিলো আদর্শ লিপি। বাস্তবতার নিরিখে আজ আমাদের শিশু শিক্ষায় স্নেহ পূর্ণ শাসন ও আদর্শ শিক্ষার্থী গড়ার কারিগর হিসেবে শিক্ষক হিসেবে আমাদের করনীয় সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে হবে।
লেখক: প্রধান শিক্ষক, রহমতপুর কাজী গোলাম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাপাড়া পটুয়াখালী।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply