বাংলাদেশের মানচিত্রের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগর কূল ঘেষে অবস্থিত বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাবালী উপজেলা। উপজেলাটি পাচঁটি ইউনিয়ন নিয়ে ঘঠিত এখানে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের বসবাস।
এই উপজেলায় নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবা, দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের এক মাত্র মাধ্যম নৌ-পথ। উপজেলা সদর থেকে অন্য ইউনিয়নে যেতে হলে এক মাত্র ভরষা হিসাবে নিতে হয় লঞ্চ কিংবা ট্রলার,উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকায়,উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে নদী পথে ২০ কিলোমিটার দূরে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা ৪০ কিলোমিটার দূরে জেলা সদর হাসপাতালে যেতে হয় এর ফলে মূমূর্ষ রোগীরা পথিমধ্যে বেশির ভাগ মৃত্যু বরন করে। তাই উন্নত সেবা ব্যবস্থাসহ গর্ভবতী মহিলাদের সদর হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন এবং আইডিএলসি’র যৌথ উদ্যোগে রাঙ্গাবালী উপজেলার মানুষের জন্য নির্মিত হয়েছে নৌ-এ্যাম্বুলেন্স, ২৬ ফিট দীর্ঘ কেবিন এতে থাকছে রোগীর জন্য অক্সিজেন এবং জরুরী সকল ঔষধের ব্যবস্থা, ১১৫ হর্স পাওয়ার সম্মিলিত শক্তিশালি জাপানি ইঞ্জিন সংযোজন করা হয়েছে এই এ্যাম্বুলেন্সে। যার ফলে রোগীদের হাসপাতালে পৌছাতে সময় লাগবে প্রায় ২০-৩০ মিনিট। বোট তৈরির সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ নৌ বন্দর কতৃপক্ষ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করেছে বোট এ্যাম্বুলেন্সটি। একজন দক্ষ চালক এবং একজন বোট ম্যানেজার ২৪ ঘণ্টা সেবা দিতে প্রস্তুত থাকবে বোট এ্যাম্বুলেন্সটি তে। জরুরী রোগীর জন্য থাকবে একজন মেডিকেল অফিসার। অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ ইমতিয়াজ জামি জানান, এটি আমাদের একটি স্বপ্নের প্রজেক্ট, এই এ্যাম্বুলেন্সের ফলে আমরা যদি রোগী মৃত্যুর হার কিছুটা হলেও কমাতে পারি সেটাই হবে আমাদের প্রাপ্তি, এটি রাঙ্গাবালী মানুষের সম্পদ, সবাই মিলেই আমরা চেষ্টা করলে এই প্রকল্প সফল হবে।
জানা গেছে ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে উদ্বোধন করা হবে বোট এ্যাম্বুলেন্স- এম.বি. পায়রা ১লা জানুয়ারি ২০২০ থেকে অফিসিয়ালি যাত্রা শুরু করবে। সাধারন মানুষ তাকিয়ে আছে এ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
পটুয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য ও চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আ’ লীগ সভাপতি এ,কে,শামসুদ্দিন আবু মিয়া বলেন,গুরুতর অসুস্থ রোগীদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নৌ-এ্যাম্বুলেন্সটি স্বাস্থ্য সেবায় আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করি।
Leave a Reply