আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম দেলওয়ার হোসেন নিউমোনিয়ার উপসর্গ শ্বাস কষ্ট ও জ্বর নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১ টার সময় পৌরসভার লোচা গ্রামের নিজ বাড়ীতে মৃত্যুরবন করেছেন। এদিকে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সন্দেহে আমতলী উপজেলা প্রশাসন তার বাড়ী লকডাউন করে দিয়েছেন। চিকিৎসকরা তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইসিডিআর) পাঠিয়েছেন। যতদিন পর্যন্ত তার নমুনা প্রতিবেদন না আসবে যতদিন পর্যন্ত বাড়ী লকডাউন থাকবে। নমুনা প্রতিবেদন আসলে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ইউএনও মনিরা পারভীন। জিএম দেলওয়ারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন। ওইদিন বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার প্রবীন রাজনীতিবিদ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জিএম দেলওয়ার হোসেন গত মঙ্গলবার নিউমোনিয়ায় উপসর্গ শ্বাস কষ্ট ও জ্বরে আক্রান্ত হন। বুধবার তাকে আমতলী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। বুধবার তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।ওই হাসাপাতালের চিকিৎসকরা তার করোনা ভাইরাস সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইসিডিআর) পাঠিয়ে দেন। ওই হাসপাতাল থেকে তাকে ওইদিনই বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার সময় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবর উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। তার মৃত্যুতে উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গণসহ সাধারণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে উপজেলার হাজার হাজার নেতাকর্মী তার বাড়ীতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জমায়েত হন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন, এএসপি (আমতলী-তালতলী সার্কেল) সৈয়দ রবিউল ইসলাম ও আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে পুলিশ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য আগত নেতাকর্মীদের আহবান জানান। ওইদিন দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সন্দেহে তার বাড়ী লকডাউন ঘোষনা করেন। নমুনার প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত তার বাড়ী লকডাউন থাকবে। নমুনা প্রতিবেদন আসলে পরবর্তি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান ইউএনও। ওই দিন বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ লোচা গ্রামের বাড়ী পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রায়াত আওয়ামীলীগ নেতা জিএম দেলওয়ারের ছোট ছেলে পৌর কাউন্সিলর জিএম মুছা বলেন, বাবায় কয়েকদিন ধরে নিউমোনিয়ার ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সোয়া ১১ টার সময় তার মৃত্যু হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, জিএম দেলওয়ার হোসেন নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। সম্ববত নিউমোনিয়া জনিত রোগে তার মৃত্যু হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সন্দেহে তার বাড়ী লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। যতদিন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন না আসবে ততদিন পর্যন্ত তার বাড়ী লকডাউন থাকবে। প্রতিবেদন এলে প্রয়োজন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply