আপন নিউজ রিপোর্টঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পরকীয়া প্রেমে ফাঁসিয়ে পরিকল্পিত ভাবে অন্যের স্ত্রী সহ নগদ টাকা ও স্বর্নালঙ্কার চুরি করার অপরাধে কলাপাড়া লঞ্চ ঘাটের লিভার নাসির এর ছেলে নাহিদ পারভেজ সহ চার জনের নামে আদালতে গত ২৯ডিসেম্বর মামলা করে মো. মাসুদ খান বকু। এঘটনায় নাহিদ সহ চার জনের নামে সমন জারি করেন আদালত। বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার’র আদালত এ আদেশ জারী করেন। এই সথ্যা মামলাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য বাদীর বিরুদ্ধে উল্টো ছিনতাই মামলা দায়ের করেছে ওই কথিত সাংবাদিক নাহিদ। এবং সামাজিক যোগাযোগে মিথ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মো. মাসুদ খান বকুর অভিযোগ করছেন।
ওই মামলার বাদী দলিল লেখক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ খান বকু বলেন, বাসায় অনুপস্থিতির সুযোগে ফেসবুক, জিমেইল’র মাধ্যমে কথিত সাংবাদিক নাহিদ পারভেজ’র স্ত্রী থাকার সত্তে¡ও পরকীয়া প্রেমির জালে জড়িয়ে ফুসলিয়ে ফাঁদে ফেলে সু-কৌশলে তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। পরিকল্পিত ভাবে তার ব্যবহৃত সকল ডিজাইনের স্বর্নালঙ্কার, বাসায় থাকা নগদ টাকা ও স্ত্রীর ডিপিএস ভেঙ্গে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে একসঙ্গে পালিয়ে যায়। বর্তমানে তারা পালিয়ে আছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় পালিয়ে থাকার থাকানে। এঘটনায় আমি মামলা করি গত ২৯, ১২, ২০২০ ইং তারিখে। এ ঘটনাটি এবং মামলা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ৩১ ডিসেম্বর আমার বিরুদ্বে পটুয়াখালী বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ ম আমলী আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানার পাগলার মোড় পশ্চিম পাশে দুপুর ১২ টার সময় এই ছিনতাই দেখানো হয়েছে। যেখানে সারারাতে লোকজন চলাফেরা করে, এবং মামলায় সাক্ষী ৮ জন্য মধ্যে কিভাবে কলাপাড়া থেকে গিয়ে একজন দলিল লেখক ছিনতাই করে, এটি আমার মাথায় আসে না। ওই মামলার সাক্ষীদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, ওই মামলায় যারা সাক্ষী রয়েছে তারাও জানে না তাদেরকে সাক্ষী দেয়া হয়েছে।
আমার কর্মস্থান এবং ঘরবাড়ি কলাপাড়ায় কিন্তু মামলায় দেখানো হয়েছে দুমকিতে যাবার পথে ছিনতাই করেছি। এতেই বোঝা যায় মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
তিনি আরো বলেন, করোনাকালীন সময় রহমতপুরের ১২০ জন হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য্য সামগ্রী খাাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি, এবং অনেক অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসা’র উন্নয়নমূলক কাজের দাতা, এছাড়াও রহমতপুর মসজিদ উন্নয়ন জন্য ৫ লক্ষ টাকা অনুদান করেছি। এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই এবং এই ঘৃণিত কাজের সাথে জড়িত নাহিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করি।
Leave a Reply