গলাচিপায় ঘরের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে কুদ্দুস আকনের পরিবার | আপন নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
আমতলী সদর ইউপি নির্বাচনে শেষ সময়ে প্রচারনায় ব্যস্ত প্রার্থীরা; জরিপে এগিয়ে মোতাহার আমতলী একে স্কুল মহাসড়ক থেকে ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কলাপাড়ায় দূর্যোগ সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় ট্রাক কেনার কথা বলে আপন ভাতিজীর টাকা নিয়ে উধাও আপন চাচা জমে উঠেছে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন; তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস আমতলীতে ডায়েরীয়ার প্রকোপ, স্যালাইন সংঙ্কট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জনের বেডে ৩১ জনের চিকিৎসা! কলাপাড়ায় ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ গলাচিপায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, শিশুর মৃ’ত্যু কলাপাড়ায় জমিসংক্রান্ত বিষয় সালিশি বৈঠক শেষে হামলা; তিনজনকে কু’পি’য়ে জ’খ’ম কলাপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মা-ছেলে ও ছেলের বউকে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ
গলাচিপায় ঘরের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে কুদ্দুস আকনের পরিবার

গলাচিপায় ঘরের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে কুদ্দুস আকনের পরিবার

সঞ্জিব দাস,গলাচিপাঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের কুদ্দুস আকনের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। ভাড়াটিয়া বাসায় চলছে তাদের বসবাস। জানা যায়, গোলখালী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মৃত: এছাহাক আকনের ছেলে কুদ্দুস আকন (৫৫)। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪ জন। কুদ্দুস আকন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নারিকেল গাছ পরিস্কার করে জীবিকা নির্বাহ করছে। মাঝে মাঝে নারিকেল গাছ পরিস্কার করিতে না পারিলে হরিদেবপুর মাছ বাজার পরিস্কার করে মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাত পেতে কিছু টাকা নিয়ে বাজার করে কোন রকমে সংসার চালান। কুদ্দুস আকন জানান, আমার জন্মের পরে বাবা মারা যান বাবার মৃত্যুর পরে মা ও স্ত্রী,সন্তান নিয়ে কোন রকম সংসার করে বেচে আছি। আমার নেই কোন জায়গা জমি, নেই কোন ঘর, মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নারিকেল গাছ পরিস্কার করে সারাদিনে যা পাই তা দিয়ে কোন রকম সংসার চালাচ্ছি। যে দিন নারিকেল গাছ পরিস্কার করতে না পারি সে দিন মাছ বাজার পরিস্কার করে মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিছু টাকা পয়সা হাত পেতে বাজার করে বাড়ি যাই। তিনি আরও বলেন, শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের গরীবদের নাকি ঘর দেয়। যদি আমি একটি ঘর পেতাম তাহলে বাকি জীবনটা সুখে কাটাতে পারতাম। কুদ্দুস আকনের স্ত্রী সুমি বেগম(৪০) জানান, আমার স্বামীর রোজগারে আমাদের ৪টি জীবন চলে। থাকি ভাড়া বাসায়, খুব কষ্টে। কুদ্দুস আকনের মা রাহেলা বেগম(৯০) জানান, স্বামীর মৃত্যুর পরে আমার ছেলে কুদ্দুসের সংসারেই পরে আছি। আমার ছেলেটাকে যদি সরকারীভাবে একটি ঘর দিত তাহলে আমরা সরকারের কাছে চির ঋণী থাকতাম। এ বিষয়ে হরিদেবপুর মাছ ব্যবসায়ী রফিক, আক্কেল ও শহিদুল বলেন, আসলেই কুদ্দুস আকনের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারীভাবে তাদেরকে একটি ঘর দিলে পরিবারটির অনেক উপকার হত। গোলখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি খালেক মাস্টার বলেন, কুদ্দুস আকনের কোন জমাজমি নেই আসলেই সরকারীভাবে ঘরের দাবিদার তারা। গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসিরউদ্দিন হাওলাদার বলেন, কুদ্দুস আকনের পরিবার আসলেই অসহায় নারিকেলগাছ পরিস্কার করে জীবিকা নির্বাহ করছে। সরকারীভাবে কুদ্দুস আকনের পরিবার একটি ঘর পেলে তারা সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!