আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া এলাকার বন্য নিয়ন্ত্রন বাঁধের গাছ কেটে উজার করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই গ্রামের মন্টু হাওলাদার ও তার ভাই মামুন হাওলাদার এ গাছ কেটে নেন বলেন জানান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের লোকজন ঘটনাস্থল গিয়ে গাছ কাটতে বাঁধা দেয়। কিন্তু তারা বাধা উপেক্ষা করে ৯ টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার দুপুরে।
জানাগেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৫৪/বি পোল্ডারে ২০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ রয়েছে। ওই বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৯০ সালে রেইন্ট্রি ও মেহগনি গাছের চারা রোপন করে। ওই চারা গাছ বর্তমানে বৃহৎ গাছে পরিনত হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার ওই বাঁধের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া এলাকার ৫টি রেইন্ট্রি ও ৪ টি মেহগনি গাছ কেটে ফেলেছে স্থানীয় মন্টু হাওলাদার ও তার ভাই মামুন হাওলাদার বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ওইদিন আমতলী পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন ঘটনাস্থলে যায়। তারা মন্টু এবং মামুনকে গাছ কাটতে নিষেধ করেন। কিন্তু তারা তাদের নিষেধ উপেক্ষা করে গাছ কর্তণ করছে বলে জানান স্থানীয় হারুন ডাকুয়া। এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেন জানান এসও আক্তার হোসেন। ওই গাছের মুল্য অন্তত ৫০ হাজার টাকা।
স্থানীয় হারুন ডাকুয়া বলেন, মন্টু হাওলাদার তার ভাই মামুন হাওলাদার দুই সহযোগীকে নিয়ে দুই দিন ধরে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের গাছ কাটছে। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের লোকজন এসে নিষেধ করলেও তারা তা মানছে না। তিনি আরো বলেন, ওই গাছের খন্ড ঢোবার পানিতে লুকিয়ে রেখেছেন তারা।
এ বিষয়ে মন্টু হাওলাদারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের গাছ কাটিনি। আমাদের রেকর্ডীয় জমির গাছ কেটেছি।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের গাছ কাটতে নিষেধ করা সত্তে¡ও স্থানীয় মন্টু হাওলাদার ও তার ভাই মামুন হাওলাদার ৯ টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply