চঞ্চল সাহাঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহর সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পঞ্চম শ্রেনীর ক্লাশ গুলোতে কোচিং’র নাম পরিবর্তন করে ”অতিরিক্ত ক্লাশ’র” নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা। জানুয়ারী ২০২০ থেকে নতুন ক্লাশ শুরুর আগে অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্লাশ চাপিয়ে দেয়ার পাশাপাশি জনপ্রতি শিক্ষার্থীদের কোন কোন প্রতিষ্ঠানে মাসে আড়াই হাজার টাকা আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠানে তিন হাজার টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বাড়ার পাশাপাশি অভিভাবকরাও হিমশিম খাচ্ছে শিক্ষার্থীদের খচর চালাতে।
এতে বেশী ক্ষতির শিকার হচ্ছে অপেক্ষাকৃত গরীব এবং কম মেধাবী শিক্ষার্থীরা।
এসব শিক্ষার্থীরা ক্লাশে যেমন শিক্ষকদের লেকচার ধরতে পারছে না, তেমনি একটাকা ৭/৮ ঘন্টা ক্লাশে থাকার কারনে তারা বিনোদনের সময় পাচ্ছে না, ফলে সন্ধ্যা গড়াতে না গড়াতেই ঘুমিয়ে পড়ছে অনেকে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে না দেখায় শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ন হচ্ছে না। কলাপাড়া উপজেলার প্রশাসন এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান থাকায় এসকল কোচিংবাজ শিক্ষকরা কিছুদিন ঘাপটি মেরে থাকলেও কোচিং’র নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে ”অতিরিক্ত ক্লাশ” নামে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম, যাতে করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশিত পদক্ষেপ গুলো উপেক্ষিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রাথমিক) মো.রফিক উদ্দিন জানান, প্রাথমিক শিক্ষা আইনে দু’শিপ্টে ক্লাশ করলেও সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টার বেশী সময় অতিক্রম করতে পারবে না। এছাড়া কোচিং আদৌ করা যাবেনা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ কুমার দাশ বলেন,এর আগেও অভিযোগের ভিত্তিতে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে কোন প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করলে প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Leave a Reply