শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি।। কোরবানীর পশুর হাটেও বিক্রি হয়নি আমতলীর শ্রেষ্ঠ ষাড় কালা পাহাড়। কালাপাহাড় বিক্রি করতে না পারায় বিপাকে পরেছেন মালিক প্রবাসী মোঃ আলমগীর গাজী।
জানাগেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মোঃ মমিন গাজীর ছেলে আলমগীর গাজী ধার দেনা করে ২০০২ সালে স্বজনদের মায়া ত্যাগ করে সৌদি আরব যান। দীর্ঘ ১৬ বছর সৌদি আরব কাজ শেষে ২০১৮ সালে দেশে আসেন। ১৬ বছর স য়ের সাড়ে নয় লক্ষ টাকা নিয়ে কর্মহীন আলমগীর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের এক কর্মকর্তার পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেন গাভী পালনের। ২০১৮ সালের নয় লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা ব্যয়ে ঝিনাইদহ থেকে পাঁচটি গাভী কিনে গাজী ডেইরী ফার্ম নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এরপর তাকে আর পিছু তাকাতে হয়নি। ওই বছরেই কালা পাহাড়ের জন্ম হয়।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ দফতরের তত্বাবধানে দুই বছর ছয় মাসে কালা পাহাড় দৈত্যে পরিনত হয়েছে। ওই কালাপাহাড় গত ৫ জুন আমতলী উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের আয়োজিত প্রদর্শনীতে অংশ নেন। এতে উপজেলায় ষাড় ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পুরুস্কার ভাগিয়ে নেন। মালিক আলমগীর গাজী অনলাইন পশুর হাট, কোরবানীর পশুর হাটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ৩০ মণ ওজনের কালা পাহাড়কে বিক্রির চেষ্টা করেন। কিন্তু তার সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আমতলী, পটুয়াখালী ও বরিশালের বড় পশুর হাটে তুলে কালা পাহাড়কে কিন্তু বিক্রি করতে পারেনি। কালা পাহাড়কে বিক্রি করতে না পারায় বিপাকে পরেছেন মালিক আলমগীর গাজী।
কালা পাহাড় ও গাজী ডেইরি ফার্মের মালিক আলমগীর গাজী বলেন, ভেবেছিলাম কোবরানী উপলক্ষে কালা পাহারড়ে বিক্রি করতে পারবো। কিন্তু দক্ষিনা লের বড় পশুর হাট ঘুরেও কালা পাহাড়কে বিক্রি করতে পারলাম না। সবাই কালা পাহাড়কে দেখে যান কিন্তু দাম বলেননা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অভিজিত কুমার মোদক বলেন, মালিকের পাশাপাশি কালা পাহাড়কে বিক্রি করতে অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু সফল হইনি।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply