শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের নুরজাহার বেগমের জমি জামাতা সামসুদ্দিন আহম্মেদ জাল দলিল করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার মঙ্গলবার শ্যালক সফিকুল ইসলাম সোহেল বাদী হয়ে ভগ্নিপতি সামসুদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মোঃ সাকির হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনার সিআইডির ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানাগেছে, আমতলী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের নুরজাহান বেগম ১৯৯০ সালে দুই ছেলে আলমগীর কবির ও সফিকুল ইসলাম সোহেলের নামে জেএল ৩১ নং আমতলী মৌজার এসএ ১৩৮ নং খতিয়ানের ৩৪৫ নং দাগের ২০ শতাংশ জমি হেবানামা দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেয়। ওই সময় থেকে সোহেল ও তার বড় ভাইয়ের ছেলে এমডি দারুল ইসলাম সৈকত জমি ভোগ দখল করে আসছে। গত বছর ১৯ ডিসেম্বর ওই জমি ভগ্নিপতি সামসুদ্দিন আহম্মেদ শ্যালক সফিকুল ইসলাম সোহেলের স্বাক্ষর ও টিপসহি জাল করে তার শ্বাশুড়ীকে ভুল বুঝাইয়া হেবা দলিল করেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সফিকুল ইসলাম সোহেল বাদী হয়ে সামসুদ্দিন আহম্মেদ ও আঃ ছালাম হাওলাদারসহ সাত জনের নামে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা সিআইডির ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
সফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, আমার মা নুরজাহান বেগম ১৯৯০ সালে আমাদের দুই ভাইকে জমি হেবামুলে দলিল করে দেয়। ওই জমি আমার ভগ্নিপতি সামসুদ্দিন আহম্মেদ আমার স্বাক্ষর ও টিপসহি জাল করে আমার অসুস্থ মাকে ভুল বুঝিয়ে জমির লিখে নিয়ে গেছেন। আমি এ ঘটনার তদন্তপূর্বক সঠিক বিচার দাবী করছি।
মামলার আসামী সামসুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার শ্বাশুড়ী তার সন্তানদের জমি লিখে দিয়েছেন। সোহেলের স্বাক্ষর ও টিপসহি জালের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবি মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনার সিআইডির ওসিকে তদন্তপূর্বক আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply