কলাপাড়ায় উচ্ছেদ আতংকে ঘুম হারা ১৩৬ ভূমিহীন পরিবার | আপন নিউজ

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
আমতলী সদর ইউপি নির্বাচনে শেষ সময়ে প্রচারনায় ব্যস্ত প্রার্থীরা; জরিপে এগিয়ে মোতাহার আমতলী একে স্কুল মহাসড়ক থেকে ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কলাপাড়ায় দূর্যোগ সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় ট্রাক কেনার কথা বলে আপন ভাতিজীর টাকা নিয়ে উধাও আপন চাচা জমে উঠেছে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন; তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস আমতলীতে ডায়েরীয়ার প্রকোপ, স্যালাইন সংঙ্কট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জনের বেডে ৩১ জনের চিকিৎসা! কলাপাড়ায় ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ গলাচিপায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, শিশুর মৃ’ত্যু কলাপাড়ায় জমিসংক্রান্ত বিষয় সালিশি বৈঠক শেষে হামলা; তিনজনকে কু’পি’য়ে জ’খ’ম কলাপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মা-ছেলে ও ছেলের বউকে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ
কলাপাড়ায় উচ্ছেদ আতংকে ঘুম হারা ১৩৬ ভূমিহীন পরিবার

কলাপাড়ায় উচ্ছেদ আতংকে ঘুম হারা ১৩৬ ভূমিহীন পরিবার

মো.নাহিদুল হকঃ পায়রা বন্দরের উন্নয়নের অংশ হিসাবে সড়ক নির্মানের কাজ শুরু হওয়ায় উচ্ছেদ আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে অসহায় ভ‚মিহীন ১৩৬ টি পরিবার। কলাপাড়ার পায়রা বন্দর প্রশাসনিক ভবনের গেট থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পর্যন্ত বেড়িবাঁধের পাশে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে পরিবারগুলো। ফলে অসহায় দরিদ্র ভ‚মিহীনরা নতুন করে ভ‚মিহীন হতে যাচ্ছে। ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যারা বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্থদের ন্যায় পুনর্বাসনের দাবি জানান।

সরজমিন গিয়ে জানা যায়, সড়ক নির্মানের জন্য কলোনীসহ বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাসকারী ১৩৬টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হবে। কলাপাড়া উপজেলায় পায়রা বন্দরে ক্ষতিগ্রস্থ ৩,৪২৩ টি পরিবারকে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। একইভাবে উচ্ছেদ হতে যাওয়া পরিবারগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। বাস্তুভিটাহীন হওয়ার কারণে সরকার বসবাসের জন্য ইটবাড়িয়া গ্রামে আন্ধারমানিক নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধের ঢালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে কলোনী করে বন্দোবস্ত দিয়েছিলেন। যার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাস করে আসছে পরিবারগুলো। স¤প্রতি পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল থেকে পায়রা বন্দর প্রশাসনিক ভবন হয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা আ লিক সড়কের সাথে যুক্ত হওয়ার বিকল্প সড়ক হিসাবে পায়রা বন্দরের গেট থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পর্যন্ত বেড়িবাঁধের উপর রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য রাবেয়া বেগম বলেন, আমাদের জায়গাজমি কিছুই ছিলনা তাই সরকার এখানে বসবাস করতে দিয়েছে। এখন আমাদের প্রতিদিন ঘর ভাঙ্গার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। সরকারি জায়গায় আছি তাই টাকা পয়সা কিছুই দেবেনা। ঘর ভেঙ্গে না নিলে বালি দিয়ে আটকিয়ে দিবে।

অপর একজন আলেয়া বেগম জানান, আমাদের উঠাইয়া দিলে আমরা যাবো কোথায়? থাকবো কই? ঘর ভাইঙে নেওনের টাকাও আমাদের নাই। ভ‚ক্তভোগী পরিবারের সদস্য নাছিমা, তহমিনা একই দাবি করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের অন্য সদস্য আনসার শরীফ জানান, ৩০ থেকে ৪০ বছর যাবৎ এখানে বসবাস করি। আমাদের ভিটা মাটি কিছুই নাই,কোন রককম রাস্তার পাশে থকি। সরকার এখানে সড়ক নির্মান করবে আমরা ছেরে দিতে বাধ্য। তবে ভ‚মিহীন পরিবারগুলোকে পূর্নবাসিত করা হোক সরকারের কাছে এই দাবি জানান।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা মো.রবিউল ইসলাম জানান, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে কোন পরিবার ভ’মিহীন থাকবেনা। পায়রা বন্দর ও যারা ক্ষতিগ্রস্থ আছে তাদের সাথে সম্মিলিত ভাবে কথা বলে সুষ্ঠ সমন্নয়ের মাধ্যমে সাময়িক ভাবে এবং পরবর্তীতে স্থায়ী ভাবে কোথায় পুনর্বাসন করা যায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!