শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
বাউফল সংবাদদাতাঃ
বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানার পুলিশ চারজনকে আটক করেছেনন।
নিহতরা হলেন, ইউনিয়ন যুবলীগ সহ সভাপতি রাকিব উদ্দিন রোমান (৩৪) ও ছাত্রলীগ নেতা ইশাত তালুকদার (২৪)।
রবিবার (২ আগষ্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর বাজারের এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, স্থানীয় সাংসদ সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ সমর্থিত উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকু ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার দুপুর বারোটার দিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে চেয়ারম্যান সমর্থিত যুবলীগ নেতা রফিকুলকে বেধড়ক মারধর করে সভাপতি সমর্থিত ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা সুজন তালুকদার ও তার কর্মীরা। আহত অবস্থায় যুবলীগ নেতা রফিকুলকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর জেরে ওই দিনই রফিকুলের অনুসারীরা দুপুর দুইটার দিকে সভাপতি সমর্থিত কর্মীদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বশির ও ইব্রাহিমকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে রবিবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান সমর্থিত যুবলীগ নেতা রফিকুল কেশবপুর বাজারে গেলে সভাপতি সমর্থিত কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষ লাঠিসোঁটা ও দেশিও অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকুর আপন ভাই যুবলীগ নেতা রাকিব উদ্দিন রোমান ও চাচাতো ভাই ইশাত তালুকদারসহ ৬জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাকিব ও ইশাতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার সময় পথেই মারা যায় ইশাত। পরে রাত নয়টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাকিব উদ্দিনও মারা যায়।
বাউফল হাসপতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: আখতারুজ্জান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই নিশাতের মৃত্যু হয়। অপর দিকে রাত নয়টার সময় রাকিবকে নিয়ে আসার ২০ মিনিট পরে তারও মৃত্যু হয়। তাদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপসহ লাঠির আঘাত রয়েছে।
বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। কেশবপুর ইউনিয়নের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার চলছে বলে জানান তিনি।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply