
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত নারী চিকিৎসককে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করা সহ তাকে হুমকী প্রদানের ঘটনায় ১০জনের নামে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিম নারী চিকিৎসক ডা. তনিমা পারভীন রুনা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে কলাপাড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামৈরতলা গ্রামের আমিরুল ইসলামের স্ত্রী জবেদা বেগম (৭০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর বুধবার সন্ধ্যা অনুমান ৭:৪০ মিনিটের দিকে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: তনিমা পারভীন রুনা রোগীর প্রেসার না পাওয়ায় অক্সিজেন সাপোর্ট সহ দ্রুত তাকে বরিশাল শে.বা.চি.ম হাসপাতালে রেফার করেন। এরপর এ্যামবুলেন্স যোগে তাকে বরিশাল নেয়ার প্রস্তুতি নিতেই মারা যায় সে। এতে স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে কর্তব্যরত ওই নারী চিকিৎসককে শারিরীকভাবে লাি ত করা সহ তাকে খুন জখমের হুমকী প্রদান করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: চিন্ময় হাওলাদার বলেন, ’একজন হার্ট ফেইলিউর বৃদ্ধা রোগীকে বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: তনিমা পারভীন অক্সিজেন সাপোর্ট সহ দ্রুত তাকে বরিশাল শে.বা.চি.ম হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু রোগীর স্বজনরা অযথা কালক্ষেপন করে বরিশালে নেয়ার প্রস্তুতি নিতে সে মারা যাওয়ায় ডা. তনিমাকে কর্তব্যরত অবস্থায় শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।’
ডা. চিন্ময় আরও বলেন, ’এমনকি লাঠি সোটা নিয়ে ওই নারী চিকিৎসককে ফের হামলার প্রস্তুতি নিলে সে দৌড়ে হাসপাতাল ডরমেটরিতে গিয়ে আত্মরক্ষা করে। ঘটনার পর পর কলাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।’
কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ’হাসপাতালের এক নারী চিকিসককে কর্তব্যরত অবস্থায় আক্রমন, সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান সহ তাকে হুমকী প্রদানের ঘটনায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
Leave a Reply