
চঞ্চল সাহাঃ
কলাপাড়া হাসপতালের চিকিৎসক ডা.তনিমা পারভীনের দায়ের করা মামলায় সকল আসামীরা জামিনে মুক্তি পেয়েছে। বুধবার আসামীরা আদালতে হাজির হয়ে আসামী পক্ষের কৌশলীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত ৯ আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে সোমবার মামলার ২ নাম্বার আসামী মো.আলাউদ্দিনকে পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে মংগলবার তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত।
এদিকে, ডা.তনিমা পারভীনকে আসামী করে সোমবার (১২ অক্টোবর ) উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন মো.আমিরুল ইসলাম ওরফে সুলতান মিয়া।
তিনি তাঁর মামলায় উল্লেখ করেন, ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটের সময় তার স্ত্রী জবেদা বেগমকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.তনিমা পারভীন রুনা তাকে অবহেলা এবং তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে দায়সারা গোছের চিকিৎসা দেন। এতে জবেদা বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় চিকিৎসক তনিমা পারভীন হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রহরী আবদুল হককে দিয়ে লোক দেখানোর চিকিৎসা ব্যবস্থা করে জবেদা বেগমকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। এক পর্যায়ে জবেদা বেগম’র অবস্থা সংকটাপন্ন হলে রোগীর স্বজনরা ডা.তনিমা পারভীন কে
অক্সিজেন দিতে অনুরোধ করলে তিনি তাদের আজ্ঞাবহ নয় বলে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে হাসপাতাল থেকে বরিশাল নেয়ার পথে সে মৃত্যুকোলে ঢলে পড়ে। অপরদিকে, ডা.তনিমা পারভীন তাঁর অপরাধ ধামাচাঁপা দেয়ার জন্য উল্টো মৃত্যু ব্যক্তির স্বজনদের বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর কলাপাড়া থানায় ১০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। তারমধ্যে পটুয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আনোয়ার-উল-ইসলামের চার ছেলে, এক মেয়ে সহ অপর পাঁচ স্বজন কে আসামী করা হয়েছে। তাঁর মামলায় রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
Leave a Reply