বৃষ্টিহীন শ্রাবনে কৃষকের চোখে পানি ঝরার মাসে খড়া | আপন নিউজ

রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:১৪ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
কলাপাড়ায় গরুতে ঘাস খাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব; দুজনকে কু’পি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ। কলাপাড়ায় প্রান্তিক কৃষকের মাঝে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ আমতলীতে হতদরিদ্র পেল উপহারের ঘর কলাপাড়ায় তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ কলাপাড়ায় পানিতে ডুবে দুই শি’শু’র মৃ’ত্যু ’উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে ভয় ভীতিহীন, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর নির্বাচন’ -দুর্যোগ ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী কলাপাড়ায় মাছ লু’টে বা-ধা: দূর্বৃত্তদের হা’ম’লা’য় ঘের মালিকের ছেলে গু’রু’তর জ’খ’ম আমতলীতে সাংসদের উদ্যোগে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন ও সুপেয় পানি বিতরন আমতলীতে রাজহাঁস নিয়ে দুই পক্ষের সং’ঘ’র্ষে আ’হ’ত-৯ মানুষের কৃতকর্মে বিষাক্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী
বৃষ্টিহীন শ্রাবনে কৃষকের চোখে পানি ঝরার মাসে খড়া

বৃষ্টিহীন শ্রাবনে কৃষকের চোখে পানি ঝরার মাসে খড়া

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা।। দেশের দক্ষিন অঞ্চল বৃষ্টিহীন শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের বীজতলা, ফেটে চৌচির চাষাবাদি জমি। চাষাবাদ বন্ধ গরুর হাল, পাওয়ার টিলার পড়ে আছে যত্রতত্র অকারন। প্রায় সারাদেশ সহ দেশের দক্ষিন অঞ্চলের গলাচিপা উপজেলায় সব যায়গায় ধান রোপনের সময়। সাধারনত পটুয়াখালী অঞ্চলে কৃষকগন শ্রাবন ভাদ্র মাসে ইরি সহ বিভিন্ন জাতের ধান রোপন করে থাকেন। কৃষকদের সবধরনের বীজ নির্দিস্ট সময়ে বড় হয়ে গেছে রোপন করার সময় অতিবাহিত হতে চলেছে। কৃষকগণ বলছেন সৃষ্টিকর্তা আমাদের ওপর নারাজ হয়েছে কি না যানিনা তবে বর্ষার ভরা মৌসুমে যথাযথ পরিমান বৃষ্টি না থাকায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। বেশিরভাগ কৃষক বলছেন তাদের বীজতলাগুলো শুকিয়ে বীজ প্রখর রোদের তাপে প্রায় পুড়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে বিস্তারিতভাবে যানতে পারে যে অনেক কৃষক মহাজনদের নিকট থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছে, আবার স্বল্প আয়ের কৃষকেরা তাদের সঞ্চয় দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছে কিন্তু নিয়তি তাদের স্বপ্ন আশা ধুলিস্যৎ করতে বসেছে। আবার অনেক কৃষকগন বলছেন যদিও একটু নদীনালা বা খাল থেকে পানির সেচ দেব তাও এলাকার কিছু প্রভাবশালীরা খালে ঘন ঘন বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারি খালগুলো দখল করে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হয়েছে অথচ কৃষক ভরা মৌসুমে পানির অভাবে ফসল ফলাতে পারছে না। অনুসন্ধানে আরো দেখা যায় উল্লেখিত বিভিন্ন এলাকার খালগুলোতে ছোট বড় কালভার্ট থাকলেও তার একটিতেও পানি ওঠানো এবং নামানোর জন্য কোন কপাট নেই। মানুষ প্রয়োজনে পানি ধরে রাখতে পারছেনা আবার অপ্রয়োজনে উচ্চ পানির চাপ কমাতেও পারছেন না। কৃষকগন উপজেলা প্রশাসন কাছে ভক্তি ভরে প্রত্যাশা করছেন যেন আবাদি জমির পাশের সরকারি খালের অবৈধ বাধ গুলো কেটে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা হয়।

উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার নিয়াজ খান বলেন, বৃষ্টি মূলত প্রকৃতির দান তার ওপর কারও হাত নেই তবে খালের বাঁধের বিষয়ে উপর্মহলের সাথে মাসিক সভার আলোচনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। অফিসার আরও বলেন এরকম ভরা শ্রাবনে ধারাবাহিক অনাবৃষ্টি চলতে থাকে তাহলে ফসল উৎপাদনে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!