বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন
রিপোর্ট-এনামুল হকঃ
মাঠ ভরা ধান। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে আদালতে মামলা। মামলায় প্রধান আসামী বাংলাদেশ বিজিবি অবসরপ্রাপ্ত সু্বেদার গোলাম রব্বানী সিকদার। ঘটনাটি ঘটেছে কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের রজপাড়া গ্রামে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের রজপাড়া গ্রামের মৃত ছোমেদ আলী সিকদার এসএ ৭৬ খতিয়ানে ১.২৫ একর ভুমির মালিক থেকে ৬ জানুয়ারী ১৯৭৬ সালে সমুদয় সম্পত্তি ৪১ নং কবলা দলিলে বাংলাদেশ বিজিবি অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার গোলাম রববানী সিকদার ও নুর ইসলাম সিকদারের নিকট বিক্রি করেন।গোলাম রব্বানী সিকদার ও নুর ইসলাম সিকদার দীর্ঘ ৪৪ বছর যাবৎ জমি ভোগদখল করে আসছেন। বর্তমান বছর নিজ হালে চাষাবাদ করে ইরি ধান জম্নিয়েছেন। গোলাম রব্বানী সিকদার এর চাচা আবদুল জববার সিকদার জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় তিনি, ছোমেদ আলী সিকদার এর কন্যা ফরিদা বেগমকে ভুল বুঝিয়ে পক্ষে নিয়ে ছোমেদ আলী সিকদার এর বিক্রিত জমির মালিকানা দাবী করে ৫ ডিসেম্বর শনিবার ধান কাটার অভিযোগ এনে ৯ ডিসেম্বর কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গোলাম রব্বানী সিকদার (৪৮), আবুল বশার সিকদার (৪৬), এলাহী মনজু সিকদার (৪২), সাইফুল সিকদার (২৬), রায়হান সিকদার (৩৫), তাজিদ সিকদার (৩২), শহিদুলরহমান (২৬), সহ ১০/১৫ জন অজ্ঞাতনামা লোকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে রজপাড়া দ্বী- এলাহি দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে ৪০ দিনের মধ্যে সরে জমিনে তদন্ত পুবর্ক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন। এ বিষয়ে বিজিবি সদস্য অবসরপ্রাপ্ত গোলাম রব্বানী সিকদার জানতে পেয়ে কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি / সম্পাদক বরাবরে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে সংবাদকর্মীরা ১৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখেন যে বাদী ফরিদা বেগম তার মামলায় উল্লেখ করেছেন, রজপাড়া মৌজার এসএ ৭৬ খতিয়ানের ১.২৫ একর ভুমির ইরি ধান তার প্রতিপক্ষ কেটে নিয়েছেন। যার চৌহদ্দি উত্তরে, শহিদুল ইসলামের জমি, দক্ষিনে, কেয়ার রাস্তা, পুর্বে, খাল, পশ্চিম কেয়ারের রাস্তা। এ চৌহদ্দির মধ্যে থেকে তার ধান কেটে নিয়েছেন। তবে সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাদী মামলায় বর্নিত চৌহদ্দির মধ্যে ধান আদৌ কাটা হয়নি। মাঠে ধানতেই বাদীপক্ষ তার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে আদালতে মামলা দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা রজপাড়া দ্বীন এলাহি দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা এবি এম হাবিবুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদালতের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশমুলক কাগজ হাতে পাইনি। তবে এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আক্তারুজ্জামান কোক্কাসহ বিরোধী জমিতে গিয়ে দেখা গেছে, বিরোধপুর্ন জমিতে কোন ধান কাটা হয়নি।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply