মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
ভগ্নিপতির বাসায় বেড়াতে এসে নবম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ চার সন্তানের জনক ধর্ষক জাকির হোসেন হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের বাসুগী গ্রামে সোমবার বিকেলে।
জানাগেছে, উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর এক ছাত্রী আমতলী পৌর শহরের বাসুগী গ্রামে ভগ্নিপতির বাড়ীতে বেড়াতে আসে। সোমবার বিকেলে ওই ছাত্রী পৌরসভার ওয়াবদা অফিস সংলগ্ন ব্লকে ঘুরতে যান। ওই সময় বাসুগী গ্রামের নুরুল হক হাওলাদারের ছেলে চার সন্তানের জনক লম্পট জাকির হোসেন হাওলাদার ওই ছাত্রীকে মোটর সাইকেলে তুলে পটুয়াখালী শহরে নিয়ে যায়। ওই শহরের একটি আবাসিক হোটেলে রেখে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই ছাত্রীকে ওইদিন রাতে ধর্ষক জাকির হোসেন স্কুল ছাত্রীকে ভগ্নিপতির বাসার সামনে রেখে চলে যায়। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী সকল ঘটনা বোনের কাছে খুলে বলে। পরে ভগ্নিপতি ওই রাতেই ধর্ষক জাকির হোসেন হাওলাদারকে আসামী করে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। আমতলী থানার এসআই নাসরিন সুলতানার নেতৃত্বে পুলিশ মঙ্গলবার ভোর রাতে ধর্ষক জাকিরকে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। ওইদিন পুলিশ ধর্ষক জাকির হোসেন এবং ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন ধর্ষক জাকিরকে জেল হাজতে প্রেরন এবং স্কুল ছাত্রীর জবাববন্দি শেষে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ ওইদিনই স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
স্কুল ছাত্রীর ভগ্নিপতি বলেন, জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে আমার শালিকাকে ধর্ষণ করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এসআই নাসরিন সুলতানা বলেন, রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক জাকির হোসেন হাওলাদারেেক গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো বলেন, ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, আসামী জাকিরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply