চঞ্চল সাহাঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জনরোষের শিকার হয়েছেন। সোমবার রাত ৮ টার দিকে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, করোনার সংক্রমন ঠেকাতে ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালীন জিরো পয়েন্টের পশ্চিম দিক থেকে কুয়াকাটা সৈকত ফটোগ্রাফার সমিতির সাধারন সম্পাদক মো.ইলিয়াস শেখ তার মোটরবাইক নিয়ে আসলে ইউএনও মোটরবাইকটি থামাতে বলে। এসময় তার মাস্ক পরিধান না করার কারন জানতে চাইলে ওই ফটোগ্রাফার মাস্ক কিনতে এসেছেন বলে উল্লেখ করেন। এসময় তার বাইকের সামনে ”দৈনিক তালাশ ” ষ্টীকার লাগানো দেখে ইউএনও জানতে চাইলে ফটোগ্রাফার ইলিয়াস শেখ ওই পত্রিকার কুয়াকাটা প্রতিনিধি বলে পরিচয় দেন । তাৎক্ষনিক ইউএনও’র নিদের্শে পুলিশ সহ ইউএনও তার উপর চড়াও হয় এবং তাকে মারধর করে বলে দাবী করেন ইলিয়াস শেখ। এসময় খবর পেয়ে অন্ততঃ দুই শতাধিক ফটোগ্রাফার ও স্থানীয় মানুষ ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ঘন্টাব্যাপী এমন পরিস্থিতি চলমান থাকায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান সহ এর বিরুদ্ধে তিনি কথা বলেছেন।
ফটোগ্রাফার সমিতির সাধারন সম্পাদক
মো.ইলিয়াস শেখ জানান, ”তালাশ” পত্রিকার পরিচয় পেয়ে ইউএনও ক্ষিপ্ত হন। সাথে তিনি নিজেও মারধরের পাশাপািশ পুলিশকে মারধরের নির্দেশ দেন।
তবে ঘটনার পরপরই কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ’র সমন্বয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি মিমাংসা করে দেবেন বলে জানা গেছে।
Leave a Reply