রাজধানীর পল্লবীতে শাহীন হত্যায় চুক্তি হয় ৩০ লাখ | আপন নিউজ

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
আমতলী সদর ইউপি নির্বাচনে শেষ সময়ে প্রচারনায় ব্যস্ত প্রার্থীরা; জরিপে এগিয়ে মোতাহার আমতলী একে স্কুল মহাসড়ক থেকে ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কলাপাড়ায় দূর্যোগ সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় ট্রাক কেনার কথা বলে আপন ভাতিজীর টাকা নিয়ে উধাও আপন চাচা জমে উঠেছে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন; তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস আমতলীতে ডায়েরীয়ার প্রকোপ, স্যালাইন সংঙ্কট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জনের বেডে ৩১ জনের চিকিৎসা! কলাপাড়ায় ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ গলাচিপায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, শিশুর মৃ’ত্যু কলাপাড়ায় জমিসংক্রান্ত বিষয় সালিশি বৈঠক শেষে হামলা; তিনজনকে কু’পি’য়ে জ’খ’ম কলাপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মা-ছেলে ও ছেলের বউকে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ
রাজধানীর পল্লবীতে শাহীন হত্যায় চুক্তি হয় ৩০ লাখ

রাজধানীর পল্লবীতে শাহীন হত্যায় চুক্তি হয় ৩০ লাখ

রাজধানীর পল্লবীতে শাহীন হত্যায় চুক্তি হয় ৩০ লাখ

অনলাইন ডেস্কঃ রাজধানীর পল্লবীতে ছেলের সামনে শাহীন উদ্দিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার জন্য চুক্তি করা হয় ৩০ লাখ টাকা। এছাড়া এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের সম্পৃক্ততা পেয়েছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) বেলা সাড়ে ৪টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা জানান।

তিনি জানান, হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল আউয়ালের কলাবাগানের অফিসে বসে। আর শাহীন উদ্দিনের মৃত্যু নিশ্চিতের পর কিলার সুমন আউয়ালকে ফোন করে বলেছিল ‘স্যার ফিনিশড’।

র‌্যাব জানায়, এক বিঘার বেশি পরিমাণ জমি কেনার চেষ্টা করছিল আউয়ালের প্রতিষ্ঠান ‘হ্যাভিলি প্রপার্টি’। নিহত শাহীন ও তার স্বজনরা এই জমির মালিক। কম টাকায় জমি কিনতে না পারায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব কমান্ডার মঈন বলেন, ১৬ মে দুপুরে নিজ ছেলের সামনে শাহীন উদ্দিনকে চাপাতি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় যাদের সম্পৃক্ততা ছিল র‌্যাব তাদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। ১৯ মে চাঁদপুর থেকে হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। ২০ মে রাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূলপরিকল্পনাকারী আউয়ালকে ভৈরব থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া পটুয়াখালীর বাউফল থেকে ১৯ নম্বর আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের আরেকটি দল। তারা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

তিনি আরও বলেন, হত্যার ঘটনার চার-পাঁচদিন আগে এম এ আউয়ালের কলাবাগানের অফিসে মোহাম্মদ তাহের ও সুমন এই হত্যার পরিকল্পনা করে। মাঠ পর্যায়ে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুমনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর সুমন সক্রিয়ভাবে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে। কিলিং মিশনে জড়িত ছিল বেশ কয়েকজন।

র‌্যাব জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সুমন, বাবুসহ কয়েকজন একটা মিটিং করে। এরপর ঘটনার দিন তারা শাহীন উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে ডেকে নেয়। এ সময় শাহীন তার ছেলে মাশরাফিকে নিয়ে সেখানে যান। মীমাংসার কথা বলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী সুমন, মানিক, হাসান, ইকবালসহ ১০-১২ জন শাহীনকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় সুমন। এরপর মানিকসহ বাকিরা কোপাতে থাকে। মনির হাঁটুতে এবং মানিক উপর্যুপরি শাহীনকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় বাবুসহ অন্য আসামিরা বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে পাহারা দিতে থাকে। পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে পুরো ঘটনা শেষ হয়। ঘটনা শেষে সুমনসহ বাকিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর সুমন এক নম্বর আসামি আউয়ালকে মোবাইলে জানায় ‘স্যার ফিনিশড’।

হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে গাঁ ঢাকা দেয়। ১৭ মে মামলার ১৩ নম্বর আসামি দিপুকে র‌্যাব-৪ গ্রেফতার করে পল্লবী থানায় সোপর্দ করে।

গ্রেফতার মূল আসামি এম এ আউয়াল একজন জমি ব্যবসায়ী। তার ছত্রছায়ায় সুমন জমি দখল, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করত এবং প্রতিমাসে মাসোয়ারা বাবদ ১০-১২ হাজার টাকা নিত। তাছাড়া বিভিন্ন কাজেও টাকা নিত। এই সন্ত্রাসী দল রিকশা টোকেন বাণিজ্য, মাদক, জুয়াসহ অন্যান্য অপরাধ কার্যক্রমে জড়িত ছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুমন সাবেক এমপি আউয়ালের বিভিন্ন ব্যবসা, জমি দখল ও কাজের সঙ্গে জড়িত। ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি এই হত্যাকাণ্ডে ৩০ লাখ টাকা চুক্তি হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আউয়াল ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আউয়াল যে প্রকল্পটা করেছেন সেখানে শাহীনের পরিবারের সঙ্গে আউয়ালের ২০০৪ সাল থেকে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। আউয়ালের আলীনগর প্রকল্পে শাহীনের বেশ কিছু জমি রয়েছে। নিহত শাহীন আউয়ালকে তার জমি দিতে রাজি হন নাই। তাছাড়া এই জমি দেয়ার ব্যাপারে দীর্ঘদিন বনিবনা হচ্ছিল না।

এদিকে সুমনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়াও গত ১৭ মে মামলার এজাহারনামীয় ১৩ নং আসামি দিপুকে গ্রেফতার করে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!