রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ গলাচিপায় রুহুল আমিন মীর হত্যার ঘটনায় রুহুলের স্ত্রী নাজমুন নাহার বাদী হয়ে মিরাজ মীর ও তার বাবা জসিম মীরকে প্রধান আসামি করে ৫২ জনের নামে গলাচিপা থানায় শনিবার (২৬ জুন) একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামি জসিম বাদী নাজমুন নাহারের সম্পর্কে চাচাতো ভাসুর হন। এদিকে এ হত্যাকান্ড জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গলাচিপা থানার ওসি (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম জানান, রুহুল আমিন মীরকে চাচাতো ভাইয়ের ছেলে মিরাজ ও চাচাতো ভাই জসিম মীরের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী শুক্রবার (২৫ জুন) উপজেলার পাড় ডাকুয়া ব্রিজ বাজারে রুহুলের ওপর হামলা চালায়। এতে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত রুহুলের স্ত্রী নাজমুন নাহার বাদী হয়ে শনিবার থানায় হত্যার সাথে জড়িত মিরাজ মীর ও তার বাবা জসিম মীরকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ হত্যা মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ড জড়িত থাকার অভিযোগে পাড় ডাকুয়ার বদরুল ইসলাম খানের ছেলে সিফাত খান (২৬), পৌর এলাকার শ্যামলীবাগের মো. কালাম হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২২), মো. মিজানুর রহমানের ছেলে ইমরান হাওলাদার (২৩), আব্দুল ছত্তার হাওলাদারের ছেলে মাহমুদ শাকিল (২৩), নতুন বাজার এলাকার মো. কবির হোসেনের ছেলে মো. শহিদুজ্জামান ইমন (২১) ও শ্যামলীবাগ এলাকার মন্নান হাওলাদারের ছেলে নাঈম হাওলাদার (২১) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এরা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের চিহ্নিত ‘কিশোর গ্যাং এর সদস্য হিসেবে পরিচিত’।
ওসি (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, এর সাথে জড়িত একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনী রয়েছে। এরা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ও উপজেলার বাইরে জমিজমার বিরোধীয় এলাকায় ভাড়াটে লাঠিয়াল হিসেবে গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়। গলাচিপা থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, নিহত রুহুলের লাশ ময়না তদন্তের পর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply