গলাচিপায় লকডাউনে প্রশাসনের ব্যাপক নজরদারি ছিল চোঁখে পরার মত | আপন নিউজ

বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন

প্রধান সংবাদ
গলাচিপা হাসপাতালে চলছে রমরমা কমিশন বাণিজ্য, রোগী এলেই পরীক্ষা তালতলীতে মুদি দোকানে টিসিবির পণ্য বিক্রি করায় দোকানিকে ১২ দিনের কারাদণ্ড গলাচিপা ইউএনওর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ তালতলী পায়রা নদী সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন ভোট না দেয়ায় জেলে চাল দেয়নি ইউপি সদস্য আমতলী গাজীপুর বন্দর বাজারের স্টলে গোয়ালঘর! কলাপাড়ায় বালতির পানিতে ডুবে দুই বছরের শিশুকন্যার মৃত্যু যশোরের শার্শায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন আমতলীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা কলাপাড়ায় পায়রা বন্দরে রামনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেসিং আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর
গলাচিপায় লকডাউনে প্রশাসনের ব্যাপক নজরদারি ছিল চোঁখে পরার মত

গলাচিপায় লকডাউনে প্রশাসনের ব্যাপক নজরদারি ছিল চোঁখে পরার মত

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা।। গলাচিপায় প্রশাসনের ব্যাপক নজরদারির মাধ্যমে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে। করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে পৌর শহরসহ উপজেলার সর্বত্র প্রশাসনের ব্যাপক নজরদারির মাধ্যমে চলছে।




লকডউন চলাকালিন সময়ে শহরের মধ্যে দু’একটি মোটরসাইকেল, কিছু ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচল করতে দেখা গেছে। ঔষধ ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে পৌর শহর ঘুরে দেখা গেছে, জনসাধারনকে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউন মানতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্নস্থানে টহল দিতে দেখা গেছে। তারা হ্যান্ডমাইক নিয়ে লকডাউনে করনীয় সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করছেন। পৌর ও উপজেলা শহরের বেশ কয়েকটি স্পটে আইশৃংঙ্খলা বাহিনীকে সদা তৎপর থাকতে দেখা গেছে। উপজেলায় সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকেও টহল দিতে দেখা গেছে।

দুপুরে কথা হয় সদর ইউনিয়নের পক্ষিয়া গ্রামের মোসলেম গাজী নামে এক অটোরিক্সা চালকের সাথে। তিনি বলেন, আমরা খেটে খাওয়া অসহায় সাধারণ মানুষ। একদিন আয় না হলে না খেয়ে থাকতে হয়। ঘর থেকে বের না হলে আমার পরিবার- পরিজন নিয়ে কি খাবো। আমার বাসায় তো কেউ খাবার পৌঁছে দিবে না? তাই বের হয়েছি। আয়- রোজগার করতে না পারলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের কাউকেই বাহিরে বের হতে দেখা যাচ্ছে না।

গলাচিপা থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ টহলে রয়েছে। মানুষকে কঠোর লকডাউন মানাতে ও সচেতন করতে প্রচার- প্রচারনা অব্যাহত আছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানসহ জেলও হতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার মুঠোফোনে বলেন, কঠোর লকডাউন মানতে উপজেলা প্রশাসন ও আইশৃংঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছে। যারা লকডাউন মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে প্রশাসন। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেল জরিমানা করা হবে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু. শাহিন শাহ বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সরকার ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের সকলকে নিরাপদ থাকতে সরকারের ঘোষণা মানা উচিৎ। আমরা এই উপজেলায় লকডাউন যথাযথভাবে আমরা সবাই মেনে চলব।

পৌর মেয়র আহসানুল হক তুহিন বলেন, গলাচিপা পৌরবাসীকে সংক্রমন থেকে রক্ষা করতে বিভিন্নভাবে আমরা সচেতন করার চেষ্টা করছি। সরকারের দেয়া লকডাউন মেনে চলার জন্য পৌরবাসীকে অনুরোধ করছি। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাহিরে বের হবেন না। টহলরত অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার এক হোটেল ব্যবসায়ীকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান খোলা রাখার দায়ে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন।

সঞ্জিব/আ

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By MrHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!