মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন
সঞ্জিব দাস, গলাচিপা।। গলাচিপায় ৫০০ বছরের পুরনো মোঘল আমলের মুসলিম ঐতিহ্যের প্রাচীন ও অন্যতম নিদর্শন এক গস্বুজ বিশিষ্ট গুরিন্দা জামে মসজিদটি প্রতœতত্ত¡ স্থাপত্য শিল্পের এক অপরূপ সৌন্দর্যের দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। এখনো ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে কালের সাক্ষী হয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে এই মসজিদ। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে শত শত বছরের পুরনো স্মৃতি বিজড়িত এ মসজিদের ঐতিহ্য যেন ক্রমেই কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এটি উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া সড়কের পূর্ব পাশে গুরিন্দা এলাকায় খালের পাশে অবস্থিত। স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী বহু শতাব্দী পূর্বে এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এর অনেক আগেই গুরিন্দা জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। আবার অনেকে জানান, এ অঞ্চলে মুসলমানদের আগমন ঘটে আনুমানিক ১৪৬৫ খ্রিস্টাব্দে সুলতান মোবারক শাহের চন্দ্রদ্বীপ বিজয়ের আগে, তখন হয়তো এটি নির্মাণ করা হয়। মসজিটির মূল ভবন প্রায় ৩৬০ বর্গফুট ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট বর্গাকৃতির। এর উচ্চতা প্রায় ১৬ ফুট। এটি একটি একতলা মসজিদ। একটি মাত্র গম্বুজ বলে এটাকে এক গম্বুজ মসজিদও বলা হয়ে থাকে।
মসজিদটি ভূমি থেকে প্রায় চার ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটি এতটাই ছোট যে এর ভিতরে ১৮/২০ জন মুসুল্লি নামাজ পড়তে পারেন।
মসজিদটির ভিতর ও বাইরের সমস্ত দেয়ালের পলেস্তরা উঠে ইট বেরিয়ে গেছে। মসজিদটির পাশে রয়েছে ছোট একটি পাকা ভবনের বৈঠকখানা। এটি মসজিদটির চেয়ে আকারে ছোট। সেখানে ১০/১২ জন লোক বসতে পারেন। মসজিদটির মত এ বৈঠকখানাটিরও একই দুরাবস্থা। সংশ্লিষ্ট বিভাগ উদ্যোগ নিলে এটাও হতে পারে একটি দর্শনীয় স্থান। এ বিষয়ে রতনদী তালতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মস্তফা খান জানান, মসজিদটি অনেক পুরনো এবং জমিদারদের করা মসজিদটি এখনই সংস্কার করা না হলে মসজিদটি একদিন বিলীন হয়ে যাবে।
মো. খায়রুল বাশার বলেন, আমরা দেশের শতবছর বা হাজার বছরের স্থাপনাগুলো গুরুত্ব সহকারে সংরক্ষণ করে প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছি, বিষয়টি আমাদের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের রিজিওনাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply