বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১৭ অপরাহ্ন
মো: নূরুল আমিন।। কলাপাড়ায় প্রতিদিন বসছে দিনমজুরের বাজার। পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড এতিমখানায় সকাল সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বসে এ বাজার। বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য দিনমজুর পাওয়া যায় এ বাজারে। তবে ভালো নেই দিন মজুররা। মেলে না কাঙ্খিত কাজ। পাওয়া যায়না মজুরীও। উপরন্তু রয়েছে দালালদের দৌরাত্ম। শ্রমিকদের পকেট থেকে রেখে দেয় ৫০/১০০ টাকা হারে।
বাজারের একাধিক শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রায় এক দশক স্থায়ী এ বাজার প্রতিনির জন্য চাঙ্গা থাকতো। বর্তমানে এলাকায় কৃষি কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। কিছু শ্রমিক সাগরে-নদীতে মাছ ধরে জীবন-জিবিকা চালানোর চেষ্টা করছে। বাকিরা রয়েছে সম্পূর্ণ বেকার। এরাই সারা দিন বেকার বসে থাকছে এতিমখানার শ্রম বাজারে। প্রথম প্রথম এখানে কম শ্রমিক থাকলেও এখন অনেক শ্রমিক আসে।
নীলগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে আসা দিনমজুর মো: সুমন সিকদার জানান, আমরা কাজের ধরন বুঝে ছয়শত থেকে সাতশত টাকা নিয়ে থাকি।
মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের আরামগঞ্জ থেকে আসা মো: নজরুল ইসলাম জানান, এখানে দিনমজুর পাওয়া যায় তা অনেকে জানেনা। দিনমজুর মালেক, মোতালেব, নাসির সহ অনেকে জানায়, কাজের জন্য অনেকে (দালাল) আমাদের ঠিক করে নিয়ে যায়। কিন্তু কাজ শেষে মূল মালিকের কাজ থেকে তারা পুরো টাকাটা নিয়ে আমাদের মাথাপিছু পঞ্চাশ কখনো একশত টাকা করে কেটে রেখে দেয়। তারা আরও জানায়, যাদের কাজের প্রয়োজন তারা যদি নিজে এসে ঠিক করে তাহলে আমরা ন্যয্যমূল্য পেতাম। শ্রমিকরা জানায়, এখানে ঝাড়া-মোচাসহ সকল কাজের শ্রমিক পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রম বাজারের একাধিক দালাল বলেন, আমরা মলিকদের কাছ থেকে কাজ নিয়ে শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে নেই। এখানে আমাদের কোনো লাভ না হলে আমরা এ কাজ করবো কেন। এখানে আমরা শ্রমিকদের কাছ থেকে সামান্য কিছু টাকা রেখে দেই।
কলাপাড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: খালিদ খান জানান, আমার কাউন্সিলর অফিসের সামনে এরা বসেন। প্রতিদিন সকালে তারা এখানে এসে বসে, এখানে ঝড়-বৃষ্টির সময় বসার ও ছাউনির ব্যবস্থা আছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply