বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৬ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধিঃ বীজের কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা আমনের বিআর-২৩ জাতের বীজ ১০ কেজি প্যাকেটর সরকারী নির্ধারিত মুল্য পাচ’শ ৫০ টাকার বীজ সাত’শ থেকে আট’শ টাকায় বিক্রি করছেন অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার আমতলী, গাজীপুর, কুকুয়া, কচুপাত্রা ও তালুকদার বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানাগেছে, আমতলীতে এ বছর আমন চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। ওই জমির আবাদের জন্য বীজ ধান প্রয়োজন ৫’শ ৮০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৯৫% কৃষক ফলন ভালো হওয়ায় বিআর-২৩ জাতের বীজ ধানের চাষাবাদ করেন। উপজেলার মোট জমির অর্ধেক বীজ কৃষকরা মজুদ রেখে থাকেন। অবশিষ্ট অর্ধেক জমির জন্য দুই’শ ৯০ মেট্রিক টন বীজের চাহিদা রয়েছে। আমতলী কৃষি অফিস দুই’শ ৯০ মেট্রিক টন আমন ধানের বীজ বরাদ্দ চেয়ে পটুয়াখালী বিএডিসি কর্তৃপক্ষকে চাহিদা পাঠিয়েছে। কিন্তু বিএডিসি কর্তৃপক্ষ ৮৭ মেট্রিক টন বীজ ধান সরবরাহ করেছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য। এতে বীজ সংকটে পরেছে। এ সুবাদে উপজেলার বীজ ডিলার ও ব্যবসায়ীরা বিআর-২৩ ধানের বীজ থাকলেও কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বেশী দামে বিক্রি করছে। সচারচর বীজ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পরেছে কৃষকরা। গত সপ্তাহে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় দফায় আমতলীর জন্য ২২ টন বিআর-২৩ বীজ ধান সরবরাহ করে। ওই বীজ ধানও বিক্রি শেষ হয়ে যায়। এ সুযোগে আমনের বীজতলার শেষ মুহুর্তে ডিলার মহিউদ্দিন, ইউনুস মিয়া ও দেলোয়ার মৃধাসহ বিভিন্ন ডিলাররা বিআর-২৩ জাতের বীজ ধান পাচ’শ ৫০ টাকার বীজ সাত’শ থেকে আট’শ টাকায় বিক্রি করেছে। উপায় না পেয়ে কৃষকরা ওই বীজ ধান বেশী দামে কিনে নিচ্ছেন।
গাজীপুর গ্রামের হাসান হাওলাদার ও বেল্লাল আকন বলেন, ১০ কেজি বিআর- ২৩ বীজ ধান গাজীপুর বাজারের হুমায়ুন ঢালীর কাছ থেকে আট’শ টাকায় ক্রয় করেছি। তবে হুমায়ুন ঢালী বেশী দামে বীজ বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন।
কৃষক এমদাদ বলেন, মহিউদ্দিনের কাছ থেকে ৭’শ টাকায় বীজ ক্রয় করেছি।
ডিলার ইউনুস মিয়া বলেন, বিএডিসির দেয়া ছয় মেট্রিক টন বীজ বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। কৃষকের আরো বীজের চাহিদা রয়েছে। তবে তিনি বেশী দামে বীজ বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন।
ডিলার মহিউদ্দিন বেশী দামে বীজ বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন, সরকারী নির্ধারিত মুল্যেই বীজ বিক্রি করছি।
পটুয়াখালী বিএডিসি উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ নান্নু মিয়া বলেন, আমতলীতে ৮৭ মেট্রিকটন বীজ বরাদ্দ দিয়েছি। সরকারী নির্ধানিত মুল্যের চেয়ে বেশী দামে বীজ বিক্রি করার সুযোগ নেই। তারপরও যদি বেশী দামে বিক্রি করে তবে উপজেলা কৃষি অফিসার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার ঈশা বলেন, প্যাকেটের নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে বেশী দামে বীজ বিক্রি করার সুযোগ নেই। আমনের বীজতলার শেষ মুহুর্তে কেউ যদি বেশী দামে বীজ বিক্রি করে থাকেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, খোজ খবর নিয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply