মোঃ মনিরুল ইসলাম, মহিপুরঃ
করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে কুয়াকাটা ভ্রমনে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জেলা প্রশাসন। মৌসুম জুড়ে মন্দা ভাবের পর ভরা মৌসুমের শেষ সময়ে বিশ্ব জুড়ে করোনার এমন মহামারিতে হতাশ ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থা বেশি দিন বিরাজ করলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ইতিহাস ঐতিহ্যের দর্শনীয় স্থানসহ পর্যটন স্পটকে ঘিরে দিন দিন পর্যটকদের আকর্ষনের অন্যতম কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে সাগর কন্যা কুয়াকাটা। নানা কারনে বিগত বছর গুলোর তুলনায় পুরো মৌসুম জুড়েই মন্দাভাব ছিল কুয়াকাটায়। মৌসুমের শেষভাগে এসে করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে গত বৃহস্পতিবার সৈকতের সী-বিচে মাইকিং করে কুয়াকাটা এলাকা থেকে নিজ গন্তব্যস্থলে ফিরে যেতে বলে এস আই জামান টুরিষ্ট পুলিশ, এমন নির্দেশনায় গত ২৪ ঘন্টায় পর্যটক শূন্যের কোঠায় নেমে আসে কুয়াকাটা। এখন পুরো ১৮ কিলোমিটার সৈকত জুড়ে বিরাজ করছে শুনশান নিরবতা। পর্যটন স্পটগুলোও রয়েছে ফাকা। কোথাও কোলাহল নেই পর্যটকের। ইতিমধ্যে পর্যটনমুখী অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্রেতা শূন্যতায় বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বড় লোকসানের মুখে বলে জানান পর্র্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
পটুয়াখালী জেলায় শুক্রবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টানে আছে ৬৯ জন। এর মধ্যে ০৮ জন কোয়ারেন্টাইন শেষে বাড়ি ফিরে গেছে। জনসমাগম বাদ রেখে কম সংখ্যক মানুষ চলাচল অনুরোধ জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম, সিভিল সার্জন, পটুয়াখালী, মতিউল ইসলাম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালী বলেন করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে বাচাতে হোটেল-মোটেলসহ সী-বীচের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয় এবং পর্যটকদের আগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে কুয়াকাটায় পর্যটকদের সমাগমে পর্যটন শিল্পে ফিরে আসবে অর্থনৈতিক গতিশীলতা এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
Leave a Reply