শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
রাসেল মোল্লাঃ
কলাপাড়ায় ক্ষেতে সবজির উৎপাদন করতে না পারলে নিজেদের সংসারের উপার্জন থাকে না। অভাব কী, হাঁড়ে হাঁড়ে বুঝতে পারেন। বিশেষ করে খাদ্যাভাবটা বোঝেন শতভাগ। দারিদ্র্য কী, জানেন আদ্যোন্ত। অদম্য লড়াই করে দরিদ্র এ তিন কৃষক এখন কোমর একটু সোজা করেছেন। এঁদের দৈনিক কিছু উপার্জন আছে। তাই উপার্জন বন্ধ হওয়া হতদরিদ্র ২৫ পরিবারের সহায়তায় এগিয়ে আসলেন সবজিচাষী জাকির হোসেন, সুলতান গাজী ও আবুবকর হাওলাদারসহ ৪০ জনে। দেখালেন, ধনসম্পদ আর বিত্তবৈভব থাকলেই সব হয়না। শুধু মন আর ইচ্ছাশক্তি থাকলেই একে অপরের পাশে দাড়ানো সম্ভব। নিজেদের জীবনচাঁকা চলবে, আর পড়শিসহ কর্মহীন মানুষগুলো বেকার, উপার্জনহীন থাকায় না খেয়ে থাকবে; এটি মানতে পারেননি এই তিন সবজিচাষী। তারা তাঁদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসলেন। মানবতার হাত বাড়ালেন। চাল-ডাল, পেঁয়াজ, আলূসহ নীলগঞ্জ আদর্শ কৃষক শ্রমিক সমিতির উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ২৫টি পরিবারের পাশে দাড়ালেন। সোমবার সকাল ১০টায় নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এসব বিতরণ করলেন। শরীরের ঘাম পায়ে ফেলা তামাটে রঙের হৃদয়বান এই তিন কৃষক নেতৃত্ব দিয়ে করলেন অসাধারণ মানবতার কাজ। দেখালেন সচেতনদের চোখে আঙুল দেখিয়ে। দেশের এই ক্রান্তিকালে মহামারি করোনার ছোবলে কর্মহীন বেকার শ্রমজীবী অতিদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ালেন। সবাইকে নীরবে তাগিদ দিলেন এঁরা। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামের এই তিন সবজি চাষীর সমাজকর্মের সবাই প্রশংসা করলেন। খাদ্য সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, সবজিচাষীদের সংগঠনের সদস্যসহ সাধারণ কৃষকরা উপস্থিত থেকে উদ্যোগী সবজি চাষষীদের ভূয়ষী প্রশংসা করলেন। চাষী জাকির হোসেন জানান, তারা অতিদরিদ্র ২৫ পরিবারের প্রত্যেককে পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, আধা কেজি তেল, আধা কেজি ডাল, একটি সাবান ও এক কেজি করে লবণ দিয়েছেন।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply