
আমতলী প্রতিনিধিঃ
ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিলেন আমতলীর ইউএনও মনিরা পারভীন। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামণ রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় সোমবার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী গুচ্ছগ্রামের হতদরিদ্র কর্মহীন শ্রমজীবি ৭০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেন তিনি। ইউএনও’র এমন মহতি উদ্যোগে অভিভুত আমতলী উপজেলাবাসী।
জানাগেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস রোধে সরকারের নেয়া উৎকৃষ্ট সিদ্ধান্তে কর্মহীন হয়ে পরেছে উপজেলার কয়েক হাজার হতদরিদ্র শ্রমজীবি মানুষ। এ শ্রমজীবি পরিবারকে করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে আপদকালিন সময়ে খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ শ্রমজীবি পরিবারগুলোর মধ্যে হতদরিদ্র খুঁজে খুঁজে সোমবার গুলিশাখালী ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামা লের খেকুয়ানী গুচ্ছগ্রামের ৭০ পরিবারকে ইউএনও মনিরা পারভীন ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেন। ইউএনও’র এমন মহতি উদ্যোগে অভিভুত আমতলী উপজেলাবাসী। হতদরিদ্র প্রত্যেক পরিবারকে দশ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি ডাল, এক লিটার তেল দেয়া হয়। সরকারীভাবে সাধারণ ছুটি ঘোষনার পর থেকে ইউএনও মনিরা পারভীন উপজেলার ঘরে ঘরে গিয়ে হতদরিদ্র কর্মহীন পরিবার খুঁজে খুঁজে খাদ্য সহায়তা বিতরন করে আসছেন।
গুচ্ছগ্রামের বৃদ্ধা কালা মজিদ কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, মুই গুড়াগাড়া নাতি-পুতি লইয়্যা গত ১২ দিন ধইর্যা ঘরের মধ্যে আছি। মোর ঘরে খাওন শ্যাষ অইয়্যা গ্যাছে। ইউএনও ছারে মোরে আইজগো খাওন না দেলে কাইগো মোগো না খাইয়্যা থাকতে অইতো। আল্লায় স্যারেরে বাচাইয়্যা রাহুক।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস রোধে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ সিধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সিধান্ত বাস্তবায়নে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। যতদিন মানুষ ঘরে কর্মহীন থাকবে ততদিন তাদের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেব। উপজেলার কর্মহীন একজন মানুষকে না খেয়ে থাকতে দেব না। তিনি আরো বলেন, সাধারণ ছুটির পর থেকে হতদিরদ্র কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে।
Leave a Reply