বৃহস্পতিবার, ০১ Jun ২০২৩, ১০:৪১ অপরাহ্ন
বিশেষ আপন নিউজ প্রতিবেদকঃ
কলাপাড়ায় ’অধ্যক্ষের আপ্যায়ন বিল ৪০ হাজার টাকা!’ শীর্ষক সংবাদ গনমাধ্যমে প্রকাশের পর সাংবাদিককে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ২০১৮ এর ২৫(ক) ও ৩২ অনুযায়ী মামলার হুমকী দিলেন মোজাহারউদ্দীন বিশ্বাস কলেজ’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহিদুল আলম। মঙ্গলবার অধ্যক্ষ তাঁর ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দিয়ে এ হুমকী প্রদান করেন। ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দিয়ে সাংবাদিককে এমন হুমকী প্রদানের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
এদিকে করোনার মধ্যে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ বন্ধ থাকা কালীন সময়ে মোজাহার উদ্দীন বিশ্বাস কলেজ অধ্যক্ষ তাঁর প্রতিষ্ঠানের ৪০ হাজার টাকার
বিল ইউএনও কলাপাড়া’র কাছে অনুমোদনের জন্য প্রেরনের পর কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক তা অনুমোদন না করে ফেরৎ পাঠান। এ নিয়ে অধ্যক্ষ’র বক্তব্য জানতে চাইলে তিঁনি বলেন, ’৪০ হাজার টাকার ওই বিল ফেব্রুয়ারী- মে ২০২০ চার মাসের। যা উত্তোলন করা হয়নি। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিল, টেলিফোন বিল, বিশিষ্ট জনদের আপ্যায়ন খরচ রয়েছে। এটি মাসিক ১০ হাজার টাকা খরচ সম্বলিত কলেজ পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদিত। এ সংক্রান্ত রেজুলেশন আছে’ যা গনমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
এছাড়া কলেজটির আর্থিক সকল হিসাব সংক্রান্ত খাতা, নথি পত্র ও ভাউচার চুরি গেছে মর্মে কলাপাড়া থানায় দু’বার সাধারন ডায়েরী করার কথাও তিঁনি স্বীকার করেছেন। পৃথক ওই জিডি দু’টি তাঁর পূর্ববর্তী সময়ের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের সময় করা হয়েছে বলেও তিঁনি জানিয়েছেন। যখন তিঁনি উপাধ্যক্ষ হিসেবে
দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে রহস্যজনক কারনে কলেজটির অভ্যন্তরীন আয় ব্যায়ের হিসাব নিরীক্ষা বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ যুগ ধরে। ২০০৩ সালে একবার শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে অডিট করার কথা জানা গেছে।
এর আগে স্থানীয় সাংসদ অধ্যক্ষ মো: মহিব্বুর রহমান গত ১৪ মে ২০১৯ ও ১০ জুলাই ২০১৯ দু’টি পৃথক ডিও লেটারে উপাধ্যক্ষ মো: শহিদুল আলম’র বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অদিপ্তর, ঢাকা বরাবর দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেন। এতে উপাধ্যক্ষ মো: শহিদুল আলম কলেজ জামে মসজিদ, খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংস্কার কাজে পটুয়াখালী জেলা পরিষদ হতে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করেন মর্মে বলা হয়। স্থানীয় সাংসদ কর্তৃক তাঁর সংসদীয় এলাকায় সদ্য সরকারীকৃত সরকারী মোজাহার উদ্দীন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজ’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত ডিও লেটারের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা ৯ অক্টোবর ২০১৯, স্মারক নং-ওএম/২০সি-১/২০১৫-১০০৬০/০৭ এ মো: মোয়াজ্জেম হোসেন, পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, বরিশাল অঞ্চল ও উপ-পরিচালক (কলেজ), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বরিশাল অঞ্চল, বরিশাল এর সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে। যার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে যদিও পরবর্তীতে বিস্তারিত আর জানা যায়নি। তবে খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আনেয়ার হোসেন বলেন, ’বিদ্যালয়ের শৌচাগার সংস্কার কাজের বরাদ্দকৃত অর্থ প্রকল্পের
সিপিসি শহিদুল আলম বিদ্যালয়কে প্রদান না করায় বিদ্যালয়ের নিজ অর্থে ওই সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়।’
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply