মহিপুরের মনির ফকির কখনো কৃষি অফিসার, কখনও মৎস্য অফিসার | আপন নিউজ

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন

প্রধান সংবাদ
কলাপাড়ায় সাপ্লাই এন্ড সেল সোসাইটির নতুন কমিটির অভিষেক কলাপাড়ায় মানবপ্রেমী রফিক বয়াতীর উদ্যোগে হত দরিদ্র নারীদের মাঝে ছাগল বিতরন কলাপাড়া হাসপাতালে ডাঃ লেলিনের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান টিয়াখালীতে স্লুইস ভরাট, বিপাকে কৃষক ও জেলে পরিবার নবগঠিত ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কলাপাড়া উপজেলা কমিটির শপথ গ্রহন অনুষ্ঠিত টিয়াখালীতে জলবায়ু নীতিমালা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় চিকিৎসক অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি বরগুনা জেলার খালের মাটি পটুয়াখালী জেলার ইটভাটায় কলাপাড়ায় ইট ভাটার শ্রমিকের মৃ-তদে’হ উদ্ধার রহমতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মহিপুরের মনির ফকির কখনো কৃষি অফিসার, কখনও মৎস্য অফিসার

মহিপুরের মনির ফকির কখনো কৃষি অফিসার, কখনও মৎস্য অফিসার

মনিরুল ইসলাম, মহিপুরঃ

কলাপাড়ার মহিপুরের নিজামপুর গ্রামের হাসান ফকিরের ছেলে মনির ফকিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কখনো মৎস্য
অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে বলা হয় মনির ফকির ঔষধ কোম্পানির একজন সেল্সম্যান কিন্তুু বিভিন্ন এন জিও এর সাথে আতাত করে বিভিন্ন সাহায্যের ক্ষেত্রে তার তার একক প্রভাব খাটায় এবং সরকার কর্তৃক যেকোন সাহায্য আসলে সে সেখানে ভুয়া কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে যুক্ত হয়ে নেজ্য ব্যক্তিদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নিজের পছন্দের লোক ঢুকায় এ মনির ফকির। জানাগেছে, অনেক আগ থেকেই কলাপাড়া উপজেলায় বিভিন্ন অফিসে তার আসা যাওয়া এবং সরকারি কর্তাদের সাথে তার ওঠা বসা সেই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে তিনি এলাকায় এ ধরনের কর্মকান্ড করে আসছে।
তার এ স্বেচ্ছাচারিতায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তার এ কর্মকান্ডের কারনে প্রকৃত সাহায্যপ্রার্থীরা সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে যানা গেছে।
নিজামপুর গ্রামের আলী আহম্মদ খলিফা বলেন, তিনি এলাকায় বলে বেড়ান যে তিনি
মৎষ্য অফিসের একজন বড় কর্মকর্তা।
এবং যে সমস্ত অফিসার আমাদের এলাকায়
আসেন তারা নাকি তাকে স্যার বলেন।
এবং জেলেদের নামের তালিকা প্রনয়ন নাকি
তার দায়িত্বে তিনি যাকে তালিকায় রাখবেন সে থাকবে আর যাকে রাখবেনা সে থাকবেনা তাকে বড় কর্মকর্তারা তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে।
একই গ্রামের সোলাইমান শরীফ বলেন, মনির বলেন সমূদ্রে এবং মৎষ্য সেক্টরের সকল দায়িত্ব
তার উপরে তিনি বললে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে পারবে না বললে পারবে না।
আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, কৃষি অফিসের কোন অনুদান আসলেই তিনি তার ভিতরে ঢুকে নিজেকে কৃষি কর্মকর্তা বলে অনুদানের ক্ষেত্রে একক আধিপত্য বিস্তার করে এবং প্রকৃত অসহায় ব্যাক্তিদের সুবিধা বঞ্চিত করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনির ফকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার আগ থেকেই উপজেলার সকল অফিসে আসা যাওয়া। আমি এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে সেখান থেকে তাদের মাধ্যমে কিছু সাহায্য এনে সাধারণ মানুষকে দিয়ে থাকি। আর উপজেলার যেসমস্ত কর্মকর্তার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক তারা আমাদের এলাকায় আসলে আমাকে ফোন দিলে আমি সেখানে যাই। এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার বলেন, সে আমাদের অফিসের নিয়োগপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা নয়। আমাদের মহিপুর ইউনিয়নে মৎষ্য বিভাগের একটি প্রোজেক্ট চলমান সেখানে সে LEAF হিসেবে কাজ করে এবং এই মাসে প্রোজেক্ট শেষ হবে। যেহেতু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সেহেতু পরবর্তীতে তাকে আর নেওয়া হবেনা।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!