মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২৫ অপরাহ্ন
আপন নিউজ ডেস্কঃ
কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের উত্তর চাকামইয়া গ্রামে করোনাকালীন পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তর চাকামইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার বিকেল তিনটায় এ খেলা শুরু হয়।
করোনা পরিস্থিতির কারণে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন খেলা বন্ধ করতে বললেও আয়োজকেরা তা না শুনে খেলা চালিয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব নষ্ট করে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সচেতন মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এতে এলাকায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর ওরফে কেরামত হাওলাদারের পৃষ্ঠপোষকতায় ৭ জুন থেকে এ টুর্নামেন্ট শুরু হয়। এতে ১০টি দল অংশ নেয়। শুক্রবার ছিল ফাইনাল খেলা। এতে আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ‘বাদ্রার্স ইউনিয়ন’ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ‘বাজার ব্লাস্টার’ অংশ নেয়। খেলায় ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে জয়লাভ করে বাজার ব্লাস্টার।
স্থানীয়রা জানান, পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক মানুষজন মোটরসাইকেল, অটো, টমটমে করে খেলা দেখতে আসতে শুরু করে। খেলা দেখতে দুই-তিন হাজার মানুষ জড়ো হয়। ইউপি চেয়ারম্যান খেলা শুরু করে দিয়ে দ্রুত চলে যান। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আল আমীন খেলা চালিয়ে নেন। বিকেল সাড়ে চারটায় খেলা শেষ হয়।
স্থানীয় কয়েক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করে গতকাল বলেন, ‘আমরা করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রথম থেকেই খেলা চালাতে আপত্তি করেছিলাম। আজকে ছিল ফাইনাল খেলা। তাতে লোক সমাগম বেশি হবে, এ আশঙ্কা করেই ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে খেলা বন্ধ করতে বলা হয়। কিন্তু তাঁরা কথা শোনেননি। পরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ইউপি চেয়ারম্যানকে খেলা বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু তিনি খেলা বন্ধ করেননি।’
এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আল আমীনের বক্তব্য জানার জন্য তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর ওরফে কেরামত হাওলাদার বলেন, ‘আমি খেলার ধারেকাছেও যাইনি। যেহেতু আমি চেয়ারম্যান দোষ আমার ওপরই বর্তাবে। উপজেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশ পেয়ে আমি খেলা বন্ধ করতে বলেছি। কেউ যদি আমার নাম বলে থাকে, তাহলে ঠিক বলেনি।’ করোনার এ পরিস্থিতিতে লোকজন জড়ো করে এ ধরনের খেলার আয়োজন করা ঠিক হয়নি বলে তিনি স্বীকার করেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ‘করোনাকালে এভাবে খেলার আয়োজন করার সুযোগ নেই। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ পেয়ে আমি ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানকে খেলা বন্ধ করতে বলে দেই। কিন্তু তারপরেও খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ জন্য অবশ্যই ইউপি চেয়ারম্যানকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) করা হবে।’
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply