রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
আপন নিউজ, কলাপাড়া অফিসঃ
মনির হোসেন-রীনা বেগম দম্পতির ঝড় বইছে জীবন-সংসারে। ইটভাঁটিতে কাজ করতে গিয়ে অগ্রিম নেয়া টাকার ফয়সালার কথা বলে কার্টিজ পেপারে লেখা হয়েছে ১৯ বছরের তরুণী, নিরক্ষর মেয়ে পপি আক্তারকে বিয়ের চুক্তিপত্র। শ্রমজীবী এ দম্পতির ১৯ বছরের এ মেয়েকে স্ত্রী দাবি করে অপহরণ করে টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়ার বখাটে ফেরদৌস সিকদার (৩৫)।
গতরবিবার (৯ আগস্ট) রাত নয়টার দিকে পপিকে অপহরণ করা হয়। তাৎক্ষণিক কলাপাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানার এসআই সুকন্ঠ দে একদল পুলিশ নিয়ে একই এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে রাত আড়াইটার দিকে পপিকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় পপির বাবা ১০ আগস্ট কলাপাড়া থানায় বখাটে ফেরদৌসকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ বুধবার পপির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে।
এসআই সুকন্ঠ দে হতদরিদ্র মনির হোসেনের বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামে বাস করত মনির-রীনা দম্পতি। চার মেয়ের মা-বাবা এ দম্পতি বলতে গেলে ভাসমান বসতি। স্থানীয় একটি ইটভাঁটিতে কাজ করার জন্য ছয় মাস আগে ৩০ হাজার টাকা দাদন নেয় মনির। কাজ শেষ না হতেই দুই মাস পরে স্বপরিবারে মনির-রীনা দম্পতি আমতলী থেকে লঞ্চে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। কিন্তু রজপাড়ার মালেক সিদারের বখাটে ছেলে ফেরদৌস সিকদার আমতলী থেকে সকলকে ভয় দেখিয়ে নিয়ে আসে। আগস্ট মাসের প্রথম দিকের ঘটনা। তারিখ জানাতে পারেননি মনির হোসেন। রজপাড়ায় থাকার জন্য আব্দুল হকের বাড়ির একটি ঘর ভাড়া করে দেয় ফেরদৌস। এটি ছিল ফেরদৌসের কৌশল। টার্গেট ছিল পপি। ওই দিনই পাওনা টাকার সমাধানের কথা বলে দুইটি কার্টিজ পেপারে লিখিত চুক্তির কথা বলে মনির হোসেনের টিপ-সই নেয় ফেরদৌস। মনির হোসেনকে কিছু বুঝতে না দিয়ে সেখানে পপির সঙ্গে ফেরদৌসের বিয়ের চুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে এ পরিবারটি আছেন নানা শঙ্কার মধ্যে। মেয়ের ভবিষ্যত পরিণতি নিয়ে উৎকন্ঠায় পড়েছেন। অন্য সন্তানের নিরাপত্তা নিয়েও রয়েছেন শঙ্কিত। পুলিশ এখন পর্যন্ত প্রতারক ফেরদৌসকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আগামিকাল ভিকটিম পপির জবানবন্দী গ্রহণের জন্য আদালতে হাজির করার কথা জানালেন পুলিশের এসআই সুকন্ঠ দে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply