আমতলী প্রতিনিধিঃ
আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকানকে অনৈতিক ও ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে অনাস্থা প্রস্তাবের প্রতিবাদে সোমবার (২৪ আগস্ট) মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুকুয়া ইউনিয়ন বাসীর উদ্যোগে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের মহিষকাটা বাজারে এ মানববন্ধনে অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহন করেছেন।
জানাগেছে, গত বছর ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই বছর ২৪ এপ্রিল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শপথ নেন তিনি। শপথ নেয়ার পর থেকে গত এক বছর চার মাস তিনি সুষ্ঠুভাবে উপজেলা পরিষদ পরিচালনায় করে আসছেন। কিন্তু পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা অনৈতিক সুবিধা নিতে না পারায় ক্ষুব্ধ হন তারা এমন দাবী উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকানের। অপর দিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেয়ার পর থেকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঠিকমত পরিষদ পরিচালনা করছেন না এবং অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আসছেন এমন দাবী পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের। এর প্রেক্ষিতে আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান ও ৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১২ জন সদস্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকানের বিরুদ্ধে ১০ টি অনিয়মের অভিযোগ এনে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব দেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেয়ার ক্ষুব্ধ হয় সাধারণ জনগন। এ অনাস্থা প্রস্তাবের প্রতিবাদে সোমবার আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের মহিষকাটা বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। ওই কর্মসূচীতে কুকুয়া ইউনিয়নের অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহন করেছেন। আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ হাবিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খান, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি প্রভাষক জিএম ওসমানী হাসান, বরগুনা জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম রিপন, মাওলানা আলাউদ্দিন, কুকুয়া ইউপি সদস্য মোঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম জহির মাতুব্বর, শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম,মোঃ আবু জাফর, নাসির উদ্দিন নসা, আলতাফ হোসেন হাওলাদার, মিরাজ হাওলাদার ও নুরুজ্জামান হাওলাদার প্রমুখ।
আমতলী উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ সমিতির সভাপতি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমরা অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছি। ওই অনাস্থা প্রস্তাব তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাই। তিনি আরো বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের জন সমর্থন থাকলে তিনি উপজেলা সদরেই মানববন্ধন করতে পারতেন। গুটি কয়েক লোক নিয়ে গ্রামে মানববন্ধন করেছেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনৈতিক প্রস্তাব আমি মেনে নেইনি বিধায় আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। তিনি আরো বলেন, তারাতো শুরু থেকেই আমার বিরুদ্ধে ছিল। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারা আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করেছেন। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তারা আমার বিরুদ্ধে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করে আসছে। যারা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন তাদের বিগত দিনের কর্মকান্ড তদন্ত করে দেখার দাবী জানাই।
Leave a Reply