শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৩ অপরাহ্ন
আপন নিউজ ডেস্কঃ
মহিপুরের ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মনসাতলী গ্রামের সিকদার বাড়ি বাঁধঘাট এলাকার কৃষক মোঃ নাসির মোল্লার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়ে (২০)-কে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ সাত মাস ধরে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিবেশী মৃতঃ মোঃ ইউসুফ প্যাদার ছেলে মোঃ আঃ কাদের প্যাদা (৬৫)-এর বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোঃ আঃ কাদের প্যাদা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ওই মেয়েকে ইউনিয়ন পরিষদের সরকারের বরাদ্দকৃত সু্যোগ সুবিধা পাইয়ে দেয়া সহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় সব সময় যাতায়াত করতেন এবং দীর্ঘ সাত মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বলেন, ‘আমার মা তাকে জামাই ডাকতো। তাই আমি তাকে স্বামী মনে করতাম। আঃ কাদের প্যাদা দুইদিন রাত ১০/১১ টার দিকে আমার নিজের বাসায় আসছে। বাকি সময় মেলামেশা প্রতিবেশী হনুফার বাসায় হয়েছে।’
ভুক্তভোগী মেয়ের মা বলেন, ‘আমি বিভিন্ন সময় বাড়ির বাইরে থাকতাম। আমার মেয়ে ১০বছর যাবত প্রতিবেশী হনুফার বাসায় থাকতো। শুধু খাবারের সময় আসে, আবার চলে যায়। হনুফার বাসায় থাকা অবস্থায় এমন একটা কথা আমি শুনে হনুফাকে জিজ্ঞেস করলে, হনুফা সেটা অস্বীকার করে। এরপর থেকে আমার মেয়েকে আমি নজরে রাখি। হনুফার সাথে আঃ কাদেরের খারাপ সম্পর্ক ছিলো, সেটা এখন আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের উপরে উঠিয়ে সে সাধু সাজতে চেষ্টা করছে। আমি এর বিচার চাই।’
তিনি আরও জানান, আইনগত বিচার চাইতে গেলে কাদের প্যাদা ও তার লোকজন বিভিন্নভাবে তাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি এবং তার পরিবার প্রতিনিয়ত আতঙ্কে সময় পার করছেন।
তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতায় উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। তবে এ বিষয়ে প্রতিবেশী হনুফার কাছে জানতে চাইলে তিনি সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
স্থানীয়রা জানান, আঃ কাদের প্যাদা অত্র এলাকার একজন মামলাবাজ ও চরিত্রহীন লোক হিসেবে পরিচিত। অতীতে তার এরকম একাধিক অভিযোগ ছিলো।
এদিকে ধর্ষণের এ ঘটনাটি জানাজানি হলে আঃ কাদের তার স্ত্রী মোসাঃ সায়েরা খাতুন (৫৫)-কে তালাক দিয়ে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে বিবাহের প্রস্তাব দিলে তার পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে।
এ বিষয়ে ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাখওয়াত হোসেন নান্নু এবং ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য নাজমা বেগম বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি শুনে ঘটনাস্থলে যাই। এসময় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানীয় মানুষের সামনে অভিযুক্ত আঃ কাদের প্যাদা ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু তিনি বিবাহের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলে নিজে স্বীকার করেন। তবে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক আছে এবং তাকে বিয়ে করবে বলে জানায় প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী।’
এ বিষয় মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, তারা এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইনের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply