কলাগাছ ও বাঁশের অস্থায়ী মিনারেই চলছে শ্রদ্ধা নিবেদন! | আপন নিউজ

রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
কলাপাড়ায় গরুতে ঘাস খাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব; দুজনকে কু’পি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ। কলাপাড়ায় প্রান্তিক কৃষকের মাঝে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ আমতলীতে হতদরিদ্র পেল উপহারের ঘর কলাপাড়ায় তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ কলাপাড়ায় পানিতে ডুবে দুই শি’শু’র মৃ’ত্যু ’উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে ভয় ভীতিহীন, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর নির্বাচন’ -দুর্যোগ ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী কলাপাড়ায় মাছ লু’টে বা-ধা: দূর্বৃত্তদের হা’ম’লা’য় ঘের মালিকের ছেলে গু’রু’তর জ’খ’ম আমতলীতে সাংসদের উদ্যোগে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন ও সুপেয় পানি বিতরন আমতলীতে রাজহাঁস নিয়ে দুই পক্ষের সং’ঘ’র্ষে আ’হ’ত-৯ মানুষের কৃতকর্মে বিষাক্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী
কলাগাছ ও বাঁশের অস্থায়ী মিনারেই চলছে শ্রদ্ধা নিবেদন! 

কলাগাছ ও বাঁশের অস্থায়ী মিনারেই চলছে শ্রদ্ধা নিবেদন! 

আমতলী ও তালতলী প্রতিনিধিঃ
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছরেও নির্মাণ হয়নি বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার। মিনার নির্মাণ না করায় ভাষা শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।  কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী মিনার নির্মাণ করে শহীদ দিবস পালন করছে শিক্ষার্থীরা। কিছু প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী শহীদ মিনার থাকলেও ভাষা দিবস আসলেই ওই শহীদ মিনারগুলো ঘষা মাঝা করা হয়। ভাষা দিবস শেষ হয়ে গেলে থাকে অযন্তে আর অবহেলায়।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাগেছে, দু’উপজেলায় ৩২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে আমতলী উপজেলায় ১৫২ টি  সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,১৩ টি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,২৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২১ টি দাখিল মাদ্রাসা ও ১ টি আলিম মাদ্রাসা, ৪ ফাজিল মাদ্রাসা, ৫টি কলেজ এবং তালতলী উপজেলায় ৭৮ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫ নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১২ টি দাখিল মাদ্রাসা ও ১ টি কলেজে রয়েছে। এর মধ্যে আমতলীতে ১১ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুইটি কলেজ, ৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তালতলীতে ১০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজে শহীদ মিনার রয়েছে। কিন্তু  কোন মাদ্রাসাই শহীদ মিনার নেই। অবশিষ্ট বিদ্যালয়ে কোন শহীদ মিনার নেই। শিক্ষার্থীরা কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে শহীদ দিবস পালন করে। এছাড়া যেগুলো রয়েছে সেগুলো অযতœ আর অবহেলায় পড়ে আছে। এগুলো সংস্কারের  কোন উদ্যোগ নেই। প্রতি বছর ভাষা শহীদ দিবসের দু’এক দিন পূর্বে আমতলী কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারসহ অন্যান্য শহীদ মিনার ঘষা মাজা করে থাকে। দিবস শেষ হয়ে গেলে কেউ ওই মিনারের খবর রাখে না।
বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কাউনিয়া ইব্রাহিম একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গুরুদল বঙ্গবন্ধু নি¤œমাধ্যমিক বিদ্যালয়, এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা, মানিকঝুড়ি মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসা,পচাঁকোড়ালিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কড়াইবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই।
আমতলী এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিম মাহমুদ, সাইফুল ইসলাম সিয়াম, জিএম ইকফা, মুনতাজ, তানহা ও ঐশয্য বলেন, বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই, কলেজের শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিতে হয়। আমরা সরকারের কাছে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবী জানাই।
তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউনুচ মিয়া বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে শিক্ষার্থীরা আন্তজার্তিক মাতৃভাষা বিবস পালন করে।
আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, উপজেলার ৮ টি বিদ্যালয় ছাড়া  অবশিষ্ট বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।
আমতলী উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মোঃ সেলিম মাহমুদ বলেন, উপজেলার ১১ টি বিদ্যালয় ও দুইটি কলেজে শহীদ মিনার আছে। তিনি আরো বলেন, কোন মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিানর নির্মাণ করা প্রায়োজন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, ভাষা শহীদদের পরিচয় জানতে ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা আবশ্যক। জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!