আমতলী প্রতিনিধিঃ
ইলিশ মাছ শিকারে প্রস্তুত উপকুলীয় আমতলী-তালতলী দুই উপজেলার সাড়ে ১৩ হাজার জেলে। ২২ দিন অবরোধ শেষে আজ (বুধবার) মধ্যরাতে জেলেরা ইলিশ শিকারে নদী ও সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতিমধ্যে মাছ শিকারের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম মেরামত করে নিয়েছেন তারা। প্রস্তুতি নিয়ে ঘাটে নোঙ্গর করা রয়েছে সহ¯্রাধিক ট্রলার ও নৌকা।
জানাগেছে, ইলিশ প্রজনন মৌসুম গত ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৪ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত মা ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ২২ দিন উপকুলের আমতলী-তালতলীর তের হাজার ৫’শ ৩১ জন জেলে সাগর ও নদীতে ইলিশ মাছ শিকারে বিরত ছিল। বুধবার মধ্যরাতে অবরোধ শেষে ওই জেলেরা ইলিশ শিকারে সাগর ও নদীতে নেমে পড়বেন। ইতিমধ্যে জেলেরা ইলিশ শিকারের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। তারা অপেক্ষার প্রহন গুনছেন। সরকার ইলিশ শিকারে বিরত থাকা সকল জেলেদের কষ্ট লাঘবে বিশেষ ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে। গত ২২ দিনে তারা ইলিশ শিকারের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জাল, নৌকা ও ট্রলার মেরামত করেছেন। জেলেরা মাছ শিকারে জাল,নৌকা ও ট্রলার প্রস্তুত রেখে ঘাটে নোঙ্গর করে অপেক্ষা করছেন।
তালতলী উপজেলার গাবতলী গ্রামের জেলে ছত্তার আকন বলেন, ২২ দিন নদীতে মাছ শিকার করতে যাইনি। বুধবার রাতে নিশেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। তাই নদীতে মাছ শিকারের জন্য প্রস্ততি নিয়েছি।
আমতলী বালিয়াতলী গ্রামের সাইদুল মিয়া বলেন, ইলিশ শিকারের বিরত থাকাকালীন জাল নৌকা মেরামত করে ফেলেছি। বুধবার রাতেই নদীতে মাছ শিকারে নামবো।
তেতুঁলবাড়িয়া গ্রামের জেলে জসিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, সাগরে ইলিশ শিকারের জন্য জাল ও ট্রলার প্রস্তুত করেছি। অবরোধের শেষ দিন রাতেই সাগরে যাব।
তালতলীর ফকিরহাট মৎস্য আড়ৎ সমিতির সহ-সভাপতি ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, ইলিশ শিকারের প্রস্তুতি নিয়ে ফকিরহাট মৎস্য ঘাটে সহ¯্রাধিক ট্রলার অপেক্ষা করছে। বুধবার রাতেই জেলেরা ঘাট ছেড়ে সাগরে যাবে।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম বলেন, বুধবার মধ্যরাতে (১১টা ৫৯ মিনিট) অবরোধ শেষ হবে। রাত ১২ টার পরেই জেলেরা সাগর ও নদীতে ইলিশ শিকার করতে যেতে পারবেন।
Leave a Reply