কলাপাড়ায় খাস জমি বন্দোবস্ত করে দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চৌকি আদালতে আইনজীবীর সহকারী জামাল হোসেন আফজালের বিরুদ্ধে মামলা।
মো: আমির হোসেন মৃধা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) কলাপাড়া উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-৩১০/২০২১।
এ মামলার এ্যাডভোকেট জেড এম কাওছার।
মামলা বিবরণে জানা গেছে, গত ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর ও ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত খাস জমি বন্দোবস্ত করে দেওয়ার জন্য আসামি জামাল হোসেন আফজাল (৪৮) কে নগদ ছয় লক্ষ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করে। সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি ইত্যাদি নেয় এবং সে আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাকে খাস জমি বন্দোবস্ত করে দিবে এমন অঙ্গীকার করে। সময়সীমা শেষ হলে আসামিকে বন্দোবস্ত জমির জন্য তাগিদ করলে সে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল-জালিয়াতি ভাবে কাগজপত্র তৈরি করে মিস কেস নং-২৭০কে/৭২-৭৩ মুলে জে,এল নং-২৮ মনসাতলী মৌজার এস,এ ১৮৯ নং খতিয়ান দাগ নং-১৫৬১হইতে ৭.৫০ একর জমি তার নামে বন্দোবস্ত কেসের ভূয়া কাগজপত্র সৃষ্ট করে। যা অন্যের লোকের নামে রয়েছে। গত ১১ মার্চ-২০২১ তারিখে কলাপাড়া পৌর শহরের মমতা শপিং মল উত্তর পাশে পাকা কালভার্টের উপর ওই আত্মসাৎ টাকা ফেরত চাইলে তিনি দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। একপর্যায়ে আসামি উত্তেজিত হয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জিআই পাইপ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে, এতে তিনি গুরুতর রক্তাক্ত হয়। পরবর্তীতে তার কাছে টাকা চাইলে তাকে খুন ও জখমের হুমকি দিয়ে আসামী চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতলে এনে চিকিৎসা করান। তিনি মামলায় আরও উল্লেখ করেন এই বিষয় নিয়ে কলাপাড়া উপজেলার চৌকি আদালত আইনজীবী বরাবর ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আবেদন করলে আসামিকে নোটিশ দেয় যে ২০ মার্চ-২০২১ তারিখে সালিশী বৈঠক দিন ধার্য্য করলে আসামি উক্ত বিষয় বিজ্ঞ আদালতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আমি স্থানীয়ভাবে আসামির সাথে আপোষ ফয়সালার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হইয়া ন্যায় বিচার দাবিতে কিছুটা বিলম্বে অত্র মামলা আনায়ন করিলাম।
Leave a Reply