শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
আপন নিউজ অফিস: কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোঃ জাকারিয়া (১৮) নামে এক যুবককে কামড়িয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এছাড়া তার মা মোসাঃ খাদিজা বেগম (৪০) কে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশী মোঃ মধু হাওলাদার, জাফর হাওলাদার ও খলিলসহ ৭/৮ জন লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে স্থানীয় হারুন হাওলাদারের ছেলে জাকারিয়ার উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ডাক চিৎকার শুনে তার মা খাদিজা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে এবং তার কানের দুল ছিনিয়ে নেয় তারা। এছাড়া জাকারিয়াকে কুকুরের মত কামড়াতে থাকে মধু হাওলাদার এবং এলোপাথাড়ি পিটাতে থাকে তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এতে তার মাথা, হাত ও গালে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা এসে মা-ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। বর্তমানে জাকারিয়া সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে এবং তার মা খাদিজা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হারুন হাওলাদার বলেন, ‘আমার সামনে আমার ছোট ছেলে জাকারিয়াকে মধু ও জাফরসহ ৭/৮ জন লোক এসে বেধড়ক মারধর করে এবং হাত ও গালে কামড়িয়ে জখম করে। এসময় আমি ও আমার স্ত্রী ফিরাতে গেলে আমাদেরকেও মারধর করে এবং আমার স্ত্রীর কানের দুল ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে আমরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে আসি এবং চেয়ারম্যানকে জানাই। তিনি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
প্রতিপক্ষ জাফর হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে হারুন হাওলাদারের পালিত কুকুরে আমাদের ৮ টা রাজহাঁসের বাচ্চা খেয়ে ফেলে। বিষয়টি তাকে জানানো কুকুরটি এখন তার পালেন না বলে ক্ষতিপূরণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে আমার ভাই মধু গিয়ে হারুন হাওলাদারের বাড়ি থেকে তাদের হাঁসের বাচ্চা নিয়ে আসতে চাইলে তার ছেলে জাকারিয়া বাঁধা দেয়। এসময় বাকবিতন্ডার তৈরি হয়। পরে একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ তুহিন খান বলেন, ‘ঘটনাটি জেনেছি এবং তারা চাইলে আমরা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে দেবো।’
লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘তাদের দুজনকে চিকিৎসা নিতে বলেছি। সুস্থ হলে তাদের উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে মিমাংসা করে দেবো।’
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার মোঃ আবুল খায়ের বলেন, ‘বিষয়টি আমাদেরকে কেউ জানায়নি, আপনার মাধ্যমে জানলাম। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply