সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন
চঞ্চল সাহা, কলাপাড়াঃ কলাপাড়ায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রসার শিক্ষকরা উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডে ঝুঁেক পড়েছেন। নিজেদের স্বাবলম্বীতার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এমন কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়েছেন তারা। ইতিমধ্যে তারা সুফল পেতেও শুরু করেছ। স্থানীয় কৃষি অফিস শিক্ষকদের সুবিধার্থে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো.শাহারুল ইসলাম জানান, তিনি করোনার পর থেকেই নিজের এলাকা উপজেলার চম্পাপুরে নিজেদের জমি চাষাবাদের পাশাপাশি অন্য কৃষকদের জমি তিন বছর কিংবা দু’বছর মেয়াদে নিয়ে চাষাবাদ করছেন। এলাকার বেকার-যুবকদের সমন্বয়ে এ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ কাজে সম্পৃক্ততায় বেকারদের অপরাধ প্রবনতা যেমন কমে যাচ্ছে ,তেমনি নিজেরাও পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বচ্ছন্দে আছেন।
একই কলেজের ইংরেজী বিষয়ের প্রভাষক মো.মাহবুব আলম জানান, তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগী ফার্ম করেছেন। একদিনের বাচ্চা এনে দুই থেকে আড়াই মাস পালন করে বিক্রি করে ফেলছেন। তিনি নিজে এ কাজ করার পাশাপাশি বেতন ভুক্ত একজন লোক রেখে মুরগি পালন করছেন। দীর্ঘ তিন বছর তিনি এ কাজ করে সফলতাও পেয়েছেন। তারঁ এ সফলতা দেখে অনুপ্রানিত হচ্ছে অনেকে। ইতিমধ্যে আশে-পাশের বেকার-যুবকরাও একাজে ঝুঁকে পড়েছে।
কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, দেশ অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে হলে উৎপাদনের কোন বিকল্প নেই। তিনি কলেজের পরে অবসর সময়ে কৃষিকাজে ব্যস্ত থাকেন। মৌসুমী ফল তরমুজ সহ বিভিন্ন প্রকার রবিশষ্য চাষে তারঁ লোকদের যেমন দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন ,তেমনি তিনিও কৃষকদের সাথে কাজ করছেন ক্ষেতে খামারে। তিনি মনে করেন, শিক্ষকরা ক্লাশের পরে অবসর সময়ে বসে না থেকে কৃষি কাজে মনোনিবেশ করলে তাদেরকে অনুসরন করবে অন্যরাও। এতে যেমন বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
লালুয়া নয়াকাটা মাদ্রাসার ইংরেজীর শিক্ষক কানাই মন্ডল জানান, তিনি আপাততঃ লালুয়া একটি আবাসনে থাকছেন, আবাসনের সামনে খালি জায়গায় তিনি বিভিন্ন রকমের সবজি চাষাবাদ করছেন, তিনি মনে করেন, কীটনাশক এবং সার মুক্ত সবজি তিনি তাঁর পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে পাশাপাশি প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দিচ্ছেন।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা এ,আর,এম সাইফুল্লাহ বলেন’ কলাপাড়া উপজেলায় অন্ততঃ শতাধিক শিক্ষক রয়েছে যারা তাদের শিক্ষকতার পাশাপাশি অবসর সময়ে কৃষি কাজ করছেন। ইদানিংকালে আরো বেশী শিক্ষক কৃষিকাজে সম্পৃক্ত হয়েছেন। অনেক কৃষক কৃষি অফিসে আসছেন পরামর্শ নিতে। তাদেরকে আরো বেশী উৎসাহ প্রদান করা হয় যাতে তাদের দেখাদেখি অন্যরাও উৎসাহিত হয়।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply