আপন নিউজ রিপোর্টঃ
কুয়াকাটার লতাচালী ইউনিয়নে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি দখল করেছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা।
আদালতের নথি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, মহিপুর থানার লতাচালী ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ সত্তার ফরাজী গং বিরোধীয় জমি আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দখল করছে স্থানীয় মোঃ আঃ খালেক খলিফা, লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান মতি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন।
জানা যায়, গত ২২ মার্চ পটুয়াখালী বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালত ১ থেকে ২৯৮/২০১৮ বিচারাধীন মামলার ধার্য তারিখ আগামী ২৯ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত বিরোধীয় জমিতে কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ, আকার পরিবর্তন, সৃজন সহ সকল ব্যাপারে পুরাতন নিষেধাজ্ঞা আদেশের সময় বৃদ্ধি করে বাদী ও বিবাদীদের প্রতি আদেশ জারি করা হয়।
মামলার বিবাদী মোঃ আঃ খালেক খলিফা, পিতা- মৃতু জবান আলী খলিফা, সাং আলীপুর, মোঃ ইব্রাহীম, পিতা- আঃ রশিদ, সাং কুয়াকাটা, মোঃ চানমিয়া, পিতা- জাহাঙ্গির ব্যাপারি, সাং আলীপুর, মোঃ জাকির মুন্সী, পিতা- মতি মুন্সী, সাং আলীপুর, মোঃ সোনামিয়া, পিতা- আঃ কাদের শরীফ, সাং আলীপুর, মোঃ ওহাব মুসুল্লী, পিতা- হোসেন মুসুল্লী, সাং আলীপুর, মোঃ হাবিব, পিতা- মোক্তার আলী, সাং আলীপুর, মোঃ বয়েজিদ, পিতা- মোঃ খলিল, সাং আলীপুর, মোঃ জাফর, পিতা- মোঃ আঃ করিম, সাং আলীপুর, মোঃ মতিউর রহমান, পিতা- মৃত মোঃ আমির হোসেন গং ও বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ সত্তার ফরাজী গং প্রতি আদালত স্থিরাবস্থা নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
গত ২২ মার্চ ২০২০ ইং পটুয়াখালী বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা আদালত -১ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর, সারা বিশ্ব যখন মরণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামরোধে, বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশ সরকার “লকডাউন” ঘোষণা করেছে, তখনই মোঃ আঃ খালেক খলিফা ও মতি গং সেই সুযোগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখল করেছে।
মহিপুর থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ কালাম ফরাজী বলেন, এবিষয়ে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরারব লিখিত অভিযোগ দেওয়া সত্বেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ফলে অভিযুক্তরা আরো উৎসাহিত হয়ে ওঠে।
এব্যাপারে মহিপুর থানা ওসি মনিরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার সেল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply