রবিবার, ২২ মে ২০২২, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
গলাচিপা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় স্ত্রী দ্বারা লাঞ্ছিত নজরুল ইসলাম (৪০)। নজরুল ইসলাম হচ্ছেন উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের উত্তর হরিদেবপুর গ্রামের মো. আলাউদ্দিন খার ছেলে। স্ত্রী মোসা. সীমা বেগম (৩৩), উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের পাড় ডাকুয়া গ্রামের সোবাহান মোল্লার মেয়ে। নজরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ্য ১৯ বছর আগে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আমাদের বিবাহ হয়। আমাদের দাম্পত্য জীবনে ১ ছেলে ১ মেয়ে হয়। আজ থেকে প্রায় ৯ মাস আগে আমার শ্বশুর তার মেয়েকে বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসেন। আমার নামে আমার শ্বশুর একাধিক হয়রানি মামলা করেন। আমি একের পর এক মামলা আদালতে মোকাবেল করে এসেছি। এ নিয়ে আমাদের এলাকায় বেশ কয়েক বার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিসের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু আমার শ্বশুরকে কেউ মানাতে পারে নি। আমার শ্বশুর কারও কথা শুনেন না। তিনি একজন মামলাবাজ লোক। আমি ৯ মাস পর্যন্ত বাড়ি ছাড়া ঘর ছাড়া রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। সঠিক বিচার ও আমার স্ত্রীকে পাওয়ার আশায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান। এ বিষয়ে নজরুল ইসলামের বাবা মো. আলাউদ্দিন খার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার মেঝ ছেলে নজরুল ইসলাম। আমি নজরুল ইসলামকে আমার জমিতে ভিন্ন বাড়ি করে দেই। সেখানেই তারা বসবাস করে জীবন নির্বাহ করে। কেন আমার ছেলের বউয়ের সাথে নজরুলের মনোমানিল্য তা আমি জানি না। এ বিষয় নিয়ে আমি আমার বেয়াই সোবাহান মোল্লাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সে আমার কোন কথা না শুনে আমাকেও ছেলের সাথে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়। এ বিষয় নিয়ে মোসা. সীমা বেগমের বাবা সোবাহান মোল্লার কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। মোসা. সীমা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাবা যা করেন তার বাইরে আমি কিছুই করতে পারব না। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মস্তফা মৃধা বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনেকবার বসা হলেও ২পক্ষের মনোমালিন্য থাকায় কোন সুরহা করতে পারছি না। ইউপি চেয়ারম্যান মো. স্বপন মিয়া বলেন, আদালতে মামলা থাকায় বিষয়টি নিয়ে কোন সুরহা করা যায় না। ২ পক্ষ কখনো একসাথে ইউনিয়ন পরিষদে আসে না।
Leave a Reply