শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধিঃ
লুকোচুরি খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে সাত বছরের শিশু কন্যাকে সৎ মামাতো ভাই বখাটে সোহেল প্যাদা (১৮) ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বখাটের ধর্ষণে শিশু কন্যার গুপ্তাঙ্গ ছিড়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। শনিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে শিশুটিকে গ্রাম পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালতলী উপজেলার শারিকখালী গ্রামে। শিশু কন্যা বলেন, সোহেল দাদে মোরে পলাপুলি খ্যালার কতা কইয়্যা ছালাম মামুর পাক ঘরে নিয়া হাত-পাও মুক চাইপ্পা ধইরা মোরো কিজানি হরছে। মুই এ্যাহন তল পেট ও তল পেটের নিচে অ্যাকছের ব্যতা পাই। মোরো দাদে কইতে মানা হরছে। কইলে মোরে মাইর্যা হালাইবে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার পুর্ব চুনাখালী গ্রামের শিশুর বাবা পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দিন মজুরের কাজ করে। কাজের সুবিধার জন্য স্ত্রী ও দুই শিশু কন্যাকে তালতলী উপজেলার শারিকখালী গ্রামের শ্বশুরবাড়ীতে রেখে যান। ওই বাড়ীতে তারা গত তিন মাস ধরে বসবাস করছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিন মজুরের সাত বছরের শিশু কন্যা বাড়ী সংলগ্ন ব্রীজের নিকট খেলতে যায়। ওইখানে শিশু কন্যার সৎ মামা ফারুক প্যাদার ছেলে সোহেল প্যাদা দাড়িয়ে ছিল। সোহেল প্যাদা শিশু কন্যাকে লুকোচুরি খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর বখাটে সোহেল তার চাচা ছালাম প্যাদার নির্জন রান্না ঘরে নিয়ে হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে বলে জানায় ধর্ষণের শিকার শিশু। বখাটের ধর্ষণে শিশু কন্যার গুপ্তাঙ্গ বিভিন্ন স্থানে ছিড়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে। এ ঘটনা কাউকে বললে বখাটে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বখাটের ভয়ে ওই শিশুটি এ কথা কাউকে বলেনি। শরীরের যন্ত্রনা সইতে না পেরে শনিবার বিকেলে শিশুটি নানীর কাছে তল পেটে ব্যথার কথা জানায়। এ সময় নানী তার শরীরের অবস্থা দেখে এবং পুরো ঘটনা শুনে শিশুর মা ও বাবাকে জানায়। ওইদিন রাত সাড়ে সাতটার দিকে শিশুটিকে গ্রাম পুলিশ মামুন মিয়া ও আবদুল মালেকের সহযোগীতায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ফারজানা আক্তার দিনা ওই শিশুর চিকিৎসা দেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আমতলী হাসপাতালে গিয়ে দেখাগেছে, শিশুটি ভীষম যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে।
শিশুটির মা কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়েকে লুকোচুরি খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে সোহাগ প্যাদা হাত- পা ও মুখ বেঁধে অমানষিক নির্যাতন করেছে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে সোহেলের পরিবারের লোকজন আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
গ্রাম পুলিশ মামুন মিয়া বলেন. খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছি। ওই হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফারজানা আক্তার দিনা বলেন, শিশুটির বিষয় খুবই স্পর্শকাতর। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তালতলী থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply