কলাপাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিস’র অফিস সহকারী’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম’র অভিযোগ | আপন নিউজ

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
কলাপাড়ায় অর্ধশতাধিক অসহায় মানুষ পেল প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা সাংবাদিক জীবন কৃষ্ণ মন্ডল’র পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন প্রতিমন্ত্রী আমতলীতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড আমতলীতে চাঁদা না দিলে বিধরা নারীকে প্রাণ নাশের হুমকি; সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ কলাপাড়ায় মুরগীসহ পালনের উপকরণ দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে উধাও প্রতারক সংস্থা আমতলী সরকারী কলেজের সামনের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কলাপাড়ায় স্ত্রী কর্তৃক প্রবাসী স্বামীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ কলাপাড়ায় পূর্ব শত্রুতা বসত ফের ব্যবসায়ীর বাড়িতে চু’রি; ৮ লক্ষ টাকার মালামাল লু’ট কলাপাড়ায় শিক্ষককে মারধর, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সমাবেশ গলাচিপায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির উদ্বোধন
কলাপাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিস’র অফিস সহকারী’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম’র অভিযোগ

কলাপাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিস’র অফিস সহকারী’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম’র অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদন।। ১৯৯৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে এমএলএসএস হিসেবে চাকুরীতে যোগ দেন তিনি। এরপর ২০০৫ সালে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পদোন্নতি পান তিনি। অথচ কম্পিউটার বিষয়ক কোন জ্ঞান নেই তার, সেই থেকে প্রায় ১৮ বছর কলাপাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কর্মরত আছেন মো: নজরুল ইসলাম। এরমধ্যে বেশ কয়েকবার দুর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগে তার বদলীর গুঞ্জন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। এভাবে সরকারী চাকুরী বিধি বহির্ভূত ভাবে একই কর্মস্থলে দেড় যুগ কর্মরত থেকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের গুঞ্জন উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন সহ ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েও অদ্যবধি প্রতিকার মেলেনি বলে জানিয়েছে একাধিক শিক্ষক।

সূত্র জানায়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে টাকা আদায় করছেন। টাকা না দিলে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস তার টেবিলে ফাইল আটকে থাকে। শিক্ষকদের পেনশন ফাইল, মাতৃত্বকালীন ছুটি, মেডিকেল ছুটি, শিক্ষক লোন, বকেয়া বিল, ক্ষুদ্র মেরামত, স্লিপ, ওয়াশ ব্লক, শ্রান্তি বিনোদন, গ্রেড যুক্ত করন সহ রুটিন মেইনটেন্যান্সের ফাইল অফিস থেকে ছাড় করতে তাকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে, এটা এখন ওপেন সিক্রেট। ফাইল জমা দেয়ার সময় শিক্ষকরা নির্ধারিত পরিমান টাকা শিক্ষা অফিসের করনিক নজরুল ইসলামের হাতে গুঁজে দেন। যারা টাকা দেয় না অথবা নির্ধারিত পরিমানের কম টাকা দেয় তাদের ফাইল ঘুরতে থাকে মাসের পর মাস।

উপজেলার ১৩০ নং উত্তর টিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: রাকিবুল ইসলাম জানান, তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে নজরুল’র অসৌজন্যমূলক আচরন ও ঘুষ নেয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। যার অনুলিপি প্রাথমিকের ডিজি, ডিডি ও ডিপিইওকে দেয়া হয়েছে। যে আবেদনে একাধিক ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক একাত্মতা ঘোষনা করে স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু অদ্যবধি প্রতিকার মেলেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষা অফিসের করনিক নজরুল ইসলাম দীর্ঘ আঠারো বছর সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কলাপাড়ায় চাকুরী করছেন। দীর্ঘদিন একই অফিসে চাকুরি করার কারনে সকল শিক্ষক, কর্মচারীকে জিম্মি করে তিনি অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করছেন। যা যথাযথ কর্তৃপক্ষ তার বিত্ত, সম্পদ অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি কোন দুর্নীতি, অনিয়মের সাথে জড়িত নন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অচ্যুতানন্দ দাস বলেন, অফিস সহকারী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আমি কোন অভিযোগ পাইনি। এছাড়া সরকারী চাকুরী বিধি অনুযায়ী ৩য় শ্রেনীর কর্মচারী এক স্থানে তিন বছরের বেশী থাকতে পারে না, এরকম কোন বিধান নাই।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোল্লা বখতিয়ার রহমান বলেন, কর্মকর্তারা সাধারনত তিন বছরের বেশী এক জায়গায় থাকতে পারে না। কিন্তু কর্মচারীদের বিষয়ে এরকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই। এছাড়া অফিস সহকারী নজরুল’র বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!