আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন | আপন নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

প্রধান সংবাদ
আমতলী সদর ইউপি নির্বাচনে শেষ সময়ে প্রচারনায় ব্যস্ত প্রার্থীরা; জরিপে এগিয়ে মোতাহার আমতলী একে স্কুল মহাসড়ক থেকে ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কলাপাড়ায় দূর্যোগ সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় ট্রাক কেনার কথা বলে আপন ভাতিজীর টাকা নিয়ে উধাও আপন চাচা জমে উঠেছে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন; তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস আমতলীতে ডায়েরীয়ার প্রকোপ, স্যালাইন সংঙ্কট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জনের বেডে ৩১ জনের চিকিৎসা! কলাপাড়ায় ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ গলাচিপায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, শিশুর মৃ’ত্যু কলাপাড়ায় জমিসংক্রান্ত বিষয় সালিশি বৈঠক শেষে হামলা; তিনজনকে কু’পি’য়ে জ’খ’ম কলাপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মা-ছেলে ও ছেলের বউকে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জিএম দেলওয়ার হোসেনের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। শুক্রবার দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, মরহুমের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত, কোরানখানী, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগ, পৌর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ,ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ ও ওলামালীগ এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।
জানাগেছে, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব গণ মানুষের আস্থার প্রতিক আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ সফল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জিএম দেলওয়ার হোসেন ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুরবণ করেন। তিনি দীর্ঘ ৩২ বছর আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুতে আমতলীবাসী একজন অভিভাবক হারিয়েছে। দীর্ঘ ৫৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে যার কাছে মানুষ পেয়েছে অফুরান্ত ভালবাসা। তিনি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদে অধিষ্ট হয়ে মানুষের  আস্থা অর্জন করেছেন। কর্মময় জীবনে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুতে আমতলীবাসী হারিয়ে এক সুর্য্যসন্তানকে। আজও সেই সুর্য্য সন্তানের জন্য আমতলীবাসী কাঁদে।
১৯৬২ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন তিনি। ছাত্র রাজনীতির শুরুতেই ছাত্র লীগের সভাপতি হন এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ। ছাত্র রাজনীতিেিত যুক্ত হয়েই কুখ্যাত হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন এবং আর্ন্তজাতিক ক্রোক মিশন বাস্তবায়নে আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ফাতেমা জিন্নাহর নির্বাচন এবং মুসলিমলীগ বিরোধী কফ্ আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন। মুসলিম লীগ বিরোধী কফ্ আন্দোলনে অংশগ্রহনের কারনে তৎকালিন সরকারের রাজনৈতিক মামলায় তাকে জেলে যেতে হয়।  ১৯৬৫ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হয়ে গুরুত্ব পদে আসিন হন। ১৯৬৬’র  ছয় দফা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন। ৬৮ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রত্যাহারের আন্দোলন যুক্ত হন। এ আন্দোলনে অংশগ্রহনের কারনে তিনি জেল হাজতে যান। ১৯৬৯ গণঅভ্যূথান ও ১৯৭০’র নির্বাচনে দলের পক্ষে সংক্রিয়ভাবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। গঠন করেন সংগ্রাম কমিটি। আমতলী সংগ্রাম কমিটির সভাপতি হয়ে যুবকদের সুসংগঠিত করে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেন এবং তিনি ভারতের (পিকার ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন ছিপার অধীনে) প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। ১৯৭৫ সালে তৎকালিন সরকারের রাজনৈতিক মামলায় কারাভোগ করেছেন তিনি। কারাগার থেকে বের হয়েই আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক হন। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৮৪ সালে তার দলীয় কর্মদক্ষতার কারনে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯১ সালে আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হন। ওই সময় থেকে মুত্যূর আগ দিন পর্যন্ত তিনি আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হিসেবে দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন।  তার দলীয় কর্মদক্ষতায় সাধারণ মানুষের পেয়েছেন অফুরান্ত ভালোবাসা । দীর্ঘ ৫৭ বছর রাজনৈতিক জীবনে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়া কিছুই পায়নি। শুধু ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ তাকে আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় মনোনয়ন দেয়। ওই নির্বাচিত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হন। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘ পাঁচ বছর সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। কোন মানুষকে হতে হয়নি হয়রানীর স্বীকার। তার এত সফলতার জন্যই আমতলী উপজেলা তৃণমূল নেতাকর্মীরা ছিল তার আস্থার প্রতিক। গণ মানুষের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম দেলওয়ার হোসেন ২০২০ সালের ৯ এপিল সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তার জন্য আজও উপজেলার লক্ষ মানুষ কাঁদে। তার শুন্যতা আজও পুরণ হয়নি।
তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ কাদের মিয়া। উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমানের সঞ্চালনয় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যপক এসএম শাহজাহান কবির, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ছরোয়ার ফোরকান, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন বিশ্বাস, আওয়ামীলীগ দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন ফকির,উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আখতারুজ্জামান খান বাদল, আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার, হারুন অর-রশিদ হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর কবির মোল্লা, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন, উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক, চাওড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আহুরুজ্জামান আলমাস খাঁন, পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা, পৌর আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ খবির উদ্দিন পনু তালুকদার, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ দেওয়ান,  সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিরাজ হোসাইন প্রমুখ। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ মজিবুর রহমান।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!