শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক।। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেড কারখানার আগুনের ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম ৮ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম (৭০), তার চার ছেলে হাসিব বিন হাসেম (৩৯), তারেক ইব্রাহিম (৩৫), তাওসীব ইব্রাহিম (৩৩), তানজীম ইব্রাহিম (২১) এবং সজীব গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহান শাহ আজাদ (৪৩), হাশেম ফুডস লিমিটেডের ডিজিএম মামুনুর রশিদ (৫৩) ও হাশেম ফুডস লিমিটেডের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কাম এডমিন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (৩০)।
শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মামলা হবে, তদন্ত হবে এবং দোষীদের বিচার হবে। ইতোমধ্যে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে মই দিয়ে ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশ এই ঘটনায় স্তব্ধ… একসঙ্গে এতগুলো লোকের প্রাণহানিতে। আমরা দেখেছি. প্রথমে তিনজন পরবর্তীতে মৃত উদ্ধার হয়েছে ৪৯ জন। আমাদের ফায়ার সার্ভিস কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। হাশেম ফুড প্রোডাক্ট প্রতিষ্ঠানে কত লোক কাজ করছিল সব তদন্তে বের হবে। তারা কী করছিল সকল বিষয় নিয়েই আমাদের তদন্ত কমিটি হয়েছে।
ডিসি তদন্ত কমিটি করেছেন এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ও তদন্ত কমিটি করেছে। তদন্তের পরেই আমরা বলতে পারবো এখানে কী ঘটেছে। এটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। যারা মারা গেছে আমরা তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
যে দুইজন এখনও জীবিত আছেন হাসপাতালে… আমরা আশা করি, তারা সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন।
তাৎক্ষণিক যা করার দরকার ছিল ডিসি তা করেছেন। আরও যা যা করা দরকার তা আমরা করবো।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটা দুর্ঘটনা হয়েছে, অনেকগুলো মানুষ মারা গেছেন। মামলা হবে, তদন্তও হবে। যারা সামান্যতম দোষী তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে। তদন্তের দোষী কেউ ছাড় পাবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন বলেন, প্রথমত ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, ইউএনও ডিসি তাৎক্ষণিকভাবে এখানে এসেছেন। ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধারও করেছে। তাদের বেগ পেতে হয়েছে নিভাতে।
এখানে শিশু শ্রমিকও থাকতে পারে, বিল্ডিং তৈরির ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা তদন্তের আগে কিছু বলতে পারবো না। তদন্তে সব বের হবে এবং কেউ ছাড় পাবে না।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন।
তবে এ সময়ের মধ্যে ঝড়ে গেছে ৫২টি প্রাণ। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply