রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন
বরিশাল অফিসঃ বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে শোক দিবসের ব্যানার খোলা নিয়ে বুধবার রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে একটি এবং অপরটি পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে।
৩০ থেকে ৪০ জনের মামলায় নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা কয়েকশ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক ১৩ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম।
তিনি জানান, ইউএনওর মামলায় তার বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর পুলিশের করা মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর আক্রমণ, জনগনকে লাঞ্চিত ও ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়েছে। এসব মামলায় দুপুরে আটক মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু ও রুপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ শাহারিয়ার বাবুসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবনে বেলা পৌনে ১২টা থেকে মোতায়েন অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা দুপুর ২টার দিকে সরে যান।
এ বিষয়ে ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল, রাতের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের কেউ কেউ ওখানে অবস্থান করছিল। সেজন্য সেখানে যাওয়া। তবে সেখানে গিয়ে সেরকম কাউকে পাওয়া যায়নি এবং কাউকে সেখান থেকে আটকও করা হয়নি।’ প্রসঙ্গত বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে বুধবার রাতে শোক দিবসের ব্যানার খুলতে যান বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা।
এ সময় ব্যানার খোলার কারণ জানা নিয়ে ইউএনও মুনিবুর রহমানের সঙ্গে সিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের কথা-কাটাকাটি হয়। প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ওই সময় ইউএনওর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরে সেখানে উপস্থিত আনসার সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হলে উপস্থিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ইউএনওর বাসায় হামলার চেষ্টা চালান।
এ সময় আনসার সদস্যরা গুলি ছুড়লে প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ চারজন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবলীগ নেতা শাহরিয়ার বাবু, হারুন অর রশিদ ও তানভীরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ইউএনও কার্যালয়ের সামনে পুলিশ অবস্থান নিলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ফের ইউএনওর বাসভবনে হামলার চেষ্টা করেন।
এ সময় পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply