আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী পৌর শহরের সবুজবাগ এলাকার তাহফিজুল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের ছাত্র মোঃ নেছার উদ্দিনকে অমানষিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছুটিতে বাড়ীতে গিয়ে যথা সময়ে মাদ্রাসায় না আসায় ক্ষিপ্ত হয়ে মোহতামিম হাফেজ মোঃ আব্দুল আউয়াল এ নির্যাতন করেছেন।
এমন অভিযোগ এনে শনিবার নির্যাতিত পুত্রকে নিয়ে তার বাবা আবু সোয়েব নয়ন আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আবু সোয়েব নয়ন তার ছেলে মোঃ নেছার উদ্দিনকে আমতলী পৌরসভার সবুজবাগ এলাকার তাহফিজুল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসার ২০১৯ সালে হেফজ বিভাগে ভর্তি করেন। ওই মাদ্রাসায় ভর্তির পর থেকেই বিভিন্ন অযুহাত এনে নেছার উদ্দিনসহ মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্রকে নির্যাতন করে আসছে এমন অভিযোগ ছাত্র নেছার উদ্দিনের। গত ১৬ জানুয়ারী নেছার উদ্দিন মোহতামিমের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ীতে যায়। ছুটি শেষে পরের দিন মাদ্রাসায় আসার কথা কিন্তু ওইদিন নেছার মাদ্রাসায় আসেনি। এতে ক্ষিপ্ত হয় মোহতামিম আবদুল আউয়াল। গত রবিবার ছাত্র নেছার উদ্দিন তার মামা মিজানুর রহমানকে নিয়ে মাদ্রাসায় আসে। ওই সময় মামা মিজানুর রহমান ভাগ্নে নেছারকে মারধর না করতে অনুরোধ করেন মোহতামিম আবদুল আউয়ালকে। কিন্তু এতে আরো ক্ষিপ্ত হয় মোহতামিম। সোমবার সকালে মোহতামিম আব্দুল আউয়াল ছাত্র নেছার উদ্দিনকে ডেকে আনেন। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই নেছারকে বেত দিয়ে বেধরক মারধর করেন। পরপর দুই দিন মারধর করে নেছারকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকে রাখেন। মঙ্গলবার রাতে গোপনে নেছার তার মাকে অন্যের মোবাইল ফোনে মোহতামিমের মারধরের কথা জানায়। বুধবার মা আসমা আক্তার মাদ্রাসা এসে তার ছেলেকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যান এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করেন। শনিবার ছেলেকে মারধরের অভিযোগ এনে নির্যাতিত ছেলে নেছার উদ্দিন ও বাবা আবু সোয়েব নয়ন আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
নির্যাতিত মাদ্রাসা ছাত্র মোঃ নেছার উদ্দিন কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, এই মাদ্রাসায় ভর্তির পর থেকে হুজুর আব্দুল আউয়াল প্রায়ই মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
বাবা আবু সোয়েব নয়ন বলেন,আমার ছেলেকে যেভাবে নির্যাতন করেছে তা মেনে নেয়া যায় না। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
তাহফিজুল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসার মোহতামিম মোঃ আব্দুল আউয়াল পড়া হয়নি মর্মে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়টি ছাত্রের বাবার সাথে রফাদফা করেছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে
Leave a Reply