বিএনপি জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি তা সংবিধান পরিপন্থী- মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী | আপন নিউজ

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন

প্রধান সংবাদ
কলাপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মা-ছেলে ও ছেলের বউকে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ কাউনিয়ায় কৃষক লীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন তালতলীতে ভাসুরের বিরুদ্ধে ধ’র্ষ’ণ চেষ্টার মামলায় এলাকায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ তালতলীতে দুই সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে সাইবার মামলা আমতলীতে ৬ কেজি গাঁ’জা’সহ বিক্রেতা গ্রে’প্তা’র গলাচিপায় স্ত্রীর দাবীতে দুই দিন ধরে এক তরুনীর অনশন কলাপাড়ায় ১৩ বছরের এক মেয়ের মরদেহ উদ্ধার কাউনিয়ায় প্রাণী সম্পদ সেবা ও প্রদর্শনী মেলা কলাপাড়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন তালতলীর ইউপি চেয়ারম্যানের নগ্ন ও আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল
বিএনপি জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি তা সংবিধান পরিপন্থী- মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী

বিএনপি জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি তা সংবিধান পরিপন্থী- মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী

রিপোর্ট-মেজবাহউদ্দিন মাননুঃ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল এমপি বলেছেন, ‘ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছেন। দেশের যে প্রান্তেই ইলিশ বাড়ানো যায় কিংবা বাচ্চা দিতে পারে সকল বিষয়গুলোকে আমরা বিবেচনার ভিতরে রেখেছি। আমাদের টার্গেটটা হচ্ছে বাংলাদেশের কোন জলাশয় অব্যবহৃত থাকবেনা। যেখানে যে প্রকৃতির মাছ উৎপাদন করা যায় আমরা তার উৎপাদনে সকল সহায়তা করব। আন্ধারমানিক নদীসহ যেসব নদীতে আগে ইলিশ ছিল, এখন নেই, কেন নেই তা আমরা গবেষণা করছি। কোন কোন জায়গায় নদীর পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে, গভীরতা কমে যাওয়া, সেসব রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইলিশ যেখানে ডিম ছাড়ে সেই সময় বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা, নানা প্রাকৃতিক পরিবেশের কারনে ইলিশ তার স্থান পরিবর্তন করে। যেখানে ইলিশ একসময় ছিল সেখানেই আবার যাতে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো যায় তার ব্যাপক পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। আশা করি অতীতের মতো এই অঞ্চলে আবার ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।




অবরোধকালীন সময় ভারতীয় জেলেদের ইলিশ ধওে নেয়ার বিষয় এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমরা ভারতের যে প্রান্তের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রান্তের সংযুক্ত রয়েছে। আমরা একই সময় যাতে মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখা যায় সেই প্রক্রিয়া কার্যকর করা শুরু করেছি। ভারতীয় হাই কমিশনারের সঙ্গে এ বিষয় কথা হয়েছে। অদুর ভবিষ্যতে এ সমস্যা আর থাকছে না।’

এ সময় তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার অধিকার সকল নিবন্ধীত রাজনৈতিক দলের রয়েছে। দলের বাইরেও স্বতন্ত্র যদি কেউ নির্বাচন করেত চান তাইলে নির্বাচন করতে পারবেন। আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করেন। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের সাংবিধানের আলোকে। এটা কখনও সরকার করে না। অনেকের ভুল ধারনা; বলে থাকেন, সরকার নির্বাচন করবে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে নিরেপক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারে দাবী করা হচ্ছে। এটা নিতান্তই তাদের মুর্খতা। কারন সংবিধানে এ জাতীয় কোন সরকার ব্যবস্থা নেই। অতীতে সংযুক্ত করা হলেও উচ্চ আদালত বলেছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় অনির্বাচিত কাউকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেওয়ার কোন বিধান নেই। বিএনপি ও তার জোট যেটা দাবি করছেন, তা সংবিধান পরিপন্থী। সংবিধান পরিপন্থী কোন নির্বাচন বা কোন প্রক্রিয়া শেখ হাসিনার সরকার ও বাংলাদেশের মানুষও হতে দেবে না। তাদের যদি ক্ষমতায় যেতে হয় মানুষের জনমত যাচাইয়ের জন্য নির্বাচনে আসতে হবে। মানুষ ভোট দিবে, ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার নির্বাচিত হবে।
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদী উপকেন্দ্র কলাপাড়ায় নবনির্মিত তিনতলা অফিস কাম গবেষণাগার ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেছেন।

এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএফডিসির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব কাজী হাসান আহমেদ, সচিব মুহাম্মদ হরুন-অর-রশীদ, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক জামাল হোসেন মজুমদার, বিএফডিসির পরিচালক (অর্থ) মঞ্জুর হাসান ভুইয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়ার ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আমিরুল ইসলাম, কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মেদ আলী প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ উপকূলে সী উইড চাষ এবং সী উইড জাত পণ্য উৎপাদন গবেষণা শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কলাপাড়ায় ইনস্টিটিউটের নদী উপকেন্দ্রে অফিস কাম গবেষণাগার ভবন নির্মান করা হয়েছে। এরপরে মন্ত্রী কলাপাড়া উপজেলার মৎস্য বন্দর মহিপুর এবং আলীপুরে বিএফডিসির নবনির্মিত মৎস্য অবতরন কেন্দ্র দু’টির উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, জেলেদের আহরিত ইলিশসহ সকল মাছের গুনগত মান রক্ষা কওে বিক্রি করতে পারবে তার জন্য অবতরন কেন্দ্রে সকল সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।

মহিপুর এবং আলীপুরে মৎস্য অবতরন কেন্দ্র উদ্বোধনকে ঘিরে জেলে ও ট্রলার মালিকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ। ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় মহিপুরে এক একর ৯ শতক জমির ওপর এবং ১৫ কোটি টাকা ব্যয় আলীপুরে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। দুটি অবতরন কেন্দ্রে রয়েছে ৪০ কক্ষের আড়ত ভবন। ১০ হাজার বর্গফুটের একটি করে অকশন শেড। দুই হাজার বর্গফুটের একটি করে প্যাকিং শেড। একটি করে পর্যবেক্ষণ কক্ষ। একটি করে বিদ্যুত উপকেন্দ্র। ১০টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বরফকল। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবন। একটি করে পাম্প হাউস। দুইটি করে নিরাপত্তা কক্ষ। একটি করে গণ সৌচাগার। সাত হাজার বর্গফুট আয়তনের ট্রাক পার্কি এরিয়া। একটি করে গ্যাংওয়ে ও পন্টুন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে আলীপুর অবতরণ কেন্দ্রে দুইটি অকশন শেড বেশি নির্মাণ করা হয়েছে। দু’টি অবতরন কেন্দ্রে দুইজন ব্যবস্থাপকসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রয়েছে চারজন বরফকল অপারেটর। এই দুটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চালু হওয়ায় জেলেরা আহরিত মাছের গুনগত মান পরীক্ষা করে বাজারজাত করতে পারবেন।

এছাড়া মাছ বাছাইকরণ, গ্রেডিং করা, পাইকারি বিক্রির সুবিধা, প্যাকিং সুবিধা ছাড়াও ট্রাকে তুলে মাছ দেশের বিভিন্ন মোকামে বিক্রি করতে পারবেন। যানবাহন চলাচলের জন্য মহিপুরে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয় ৮০০ মিটার আরসিসি সড়ক এবং আলীপুরে ৭৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ব্যয় ৪০০ মিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!