রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদকঃ কলাপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের জমি সহ ঘর পেয়ে খুশী মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামের ওয়াপদা’র পাশে ঝুপড়ি ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে বাস করা বয়স্ক প্রতিবন্ধী আবদুল হক, নিজামপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী আল-আমিন, টিয়াখালী ইউনিয়নের বাদুরতলী গ্রামের দিনমজুর নাসিমা, নাচনাপাড়া গ্রামের ওয়াপদা’র পাশে ঝুপড়ি ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে বাস করা ফকরুদ্দিন ও চাকামইয়া ইউনিয়নের চুঙ্গাপাশা গ্রামের দিনমজুর ফেরদৌস মীর। এদের সবার ভাগ্যে জুটেছে ভূমিহীন ও
গৃহহীনদের পুনর্বাসনে গৃহীত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ২ শতাংশ জমি সহ ঘর। ৩৯৪ বর্গফুটের ২কক্ষ বিশিষ্ট পাকা গৃহে ১টি টয়লেট, ১টি রান্নার কক্ষ ও ইউটিলিটি স্পেস পেয়ে এখন আনন্দে আত্মহারা তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উপহারের জমি, ঘর পাওয়ায় কৃতজ্ঞতার যেন শেষ নেই তাদের।
জানা যায়, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনে গৃহীত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ প্রকল্প এ উপজেলায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরনা এখন। ’আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের এ শ্লোগান দেশের দরিদ্র মানুষের মাঝে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন ভাবে মাথা উচুঁ করে দাড়াতে শিখিয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মুজিব বর্ষে গৃহীত ’দেশের একটি দরিদ্র মানুষও ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবেনা’ পরিকল্পনার শতভাগ সফলতা, এমনটাই বলছেন সাধারন মানুষ।
উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের নাচনাপাড়া গ্রামের সুবিধাভোগী দিনমজুর ফকরুদ্দিন বলেন, ’নাচনাপাড়া বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন ওয়াপদা রাস্তার পাশে পরিবার নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে বাস করছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়নের ২ শতাংশ ঘর পেয়ে এখন নতুন জীবন পেয়েছি, নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছি।’ মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামের বয়স্ক প্রতিবন্ধী আবদুল হক বলেন,’সারা জীবন এক টুকরা জমি ও তার উপর একটি ঘর বানানোর স্বপ্ন দেখছিলাম। আজ প্রধানমন্ত্রী আমার সে স্বপ্ন পূরন করে দিয়েছেন।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির জানান, উপজেলায় ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে মোট ৭৬৩ জন ভূমিহীন, আশ্রয়হীন, হতদরিদ্র পরিবার ২ শতাংশ জমি সহ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দ পেয়েছে। এরমধ্যে ১ম পর্যায়ে ৪৫০ জনকে এবং ২য় পর্যায়ে ১১০জনকে জমি সহ ঘর বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ৩য় পর্যায়ের ঘর হস্তান্তর করার পরিকল্পনা থাকায় দ্রুত গতিতে চলছে ২০৩টি ঘরের নির্মান কাজ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির আরও জানান, ১ম পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের বরাদ্দ ছিল ১ লক্ষ ৭১ হাজার, ২য় পর্যায়ে ১ লক্ষ ৯১ হাজার। ৩য় পর্যায়ে ঘরের নকশায় পরিবর্তন সহ মজবুত করার লক্ষে প্রতিটি ঘরের বরাদ্দ বেড়ে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা হয়েছে।
এসব ঘরের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। টেকসই রঙীন টিন দিয়ে ঘর ছাওয়ার পর নতুন ঘর গুলো রঙের কাজ সম্পন্ন করে লটারীর মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের আবেদন যাচাই, বাছাই শেষে উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সাক্ষাতকার গ্রহন করা হয়েছে। এরপরও সরেজমিন তদন্ত করে সুবিধাভোগীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ঘরের নির্মান মান নিশ্চিত করতে নির্মান কাজ তদারকি করছেন। ৩য় পর্যায়ের এসব ঘর ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করা হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply