শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধিঃ বাসায় রাতভর ভোটার আইডি কার্ড রেখে টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমান (মোবাইল ফোন)। উপজেলা প্রশাসনকে অভিযোগ দিলেও তারা নিরব ভুমিকা পালন করছেন এমন অভিযোগ অপর মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল আহসান খাঁনের (হ্যাঙ্গার)। বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বরগুনা জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এমন অভিযোগ দেন তিনি।
জানাগেছে, গত ২৩ জানুয়ারী নির্বাচন কমিশন আমতলী পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুসারে গত ১৩ ফেব্রæয়ারী মেয়র পদে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ফেব্রুয়ারী নারী মেয়র প্রার্থী জেসিকা তারতিলা জুথি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। মেয়র প্রার্থী নাজমুল আহসান খাঁনের অভিযোগ তফসিল ঘোষনার পর থেকেই মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমান ভোটারদের তার বাসায় ডেকে এনে ভোটার আইডি কার্ড রেখে ৩০০০ থেকে ৪০০০ হাজার টাকা দিচ্ছেন। প্রতিনিয়ত সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত শত শত লোকজন তার বাসায় আসা যাওয়া করে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারী টাকা দাখিলের পর তিনি বেশী করে কালো টাকা দিচ্ছেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন মতিয়ার রহমানের কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগ আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে লিখিত ভাবে জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। পরে তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি। স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়ায় তিনি (মতিয়ার) আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। তার এমন অবৈধ টাকা দেয়া প্রশাসন বন্ধ না করলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। দ্রুত প্রশাসনকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমান টাকা দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, মেয়র প্রার্থী নাজমুল আহসান খান আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করেছে। তাই উপায় না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। সত্যতা প্রমানিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply