মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৭ অপরাহ্ন
রিপোর্ট: মো: এনামুল হকঃ
কলাপাড়ায় ভুমিহীন রাশিদা বেগমের বন্দোবস্তকৃত জমির মাছের ঘেরে দুবৃত্তেরা বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ বিচার দাবীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, মহিপুর থানার শিববাড়িয়া মৌজার সরকারী খাস ১১১১/১২ নং দাগের ১.০০ একর ভুমি সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী ১৩০/২০১১-২০১২ বন্দোবস্তমুলে ৫৮১৫ তারিখ ১২/১০/১২ কবুলিয়াত দলিল মুলে প্রাপ্ত হয়ে তৎকালীন উপজেলা পরিষদের কমিশনার ভুমি কর্মকর্তা দীপক কুমার দাস ও সার্ভেয়ার দ্বারা জমি সরে জমিনে দখল বুঝিয়ে দেন। জমি বুঝে পেয়ে রাশিদা বেগম তার দুই পুত্র রাজু গাজী, সুমন গাজীকে নিয়ে বসতবাড়ী ও মাছের ঘের তৈরী করে। ঐ ঘেরে মাছ চাষের জন্য কৃষি লোন উত্তোলনের জন্য জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী বরাবরে অনুমতি আবেদন করেন। ওই আবেদনের বিষয় উপজেলা নির্গবাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ০১/৯/২০১৩ তারিখ লোন করার অনুমতি প্রদান করেন। ঐ আর্দেশ মোতাবেক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মহিপুর শাখা ত্রিশ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন বেসরকারী ব্যাংক থেকে লোন উত্তোলন করে রুই, কাতলা, কোড়াল, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। মাছের চাষে রাশিদা বেগম সাবলম্বি হতে দেখে স্হানীয় মেম্বার আঃ সোবাহান হাওলাদার ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা ইউপি সদস্য বিউটি বেগম ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আবদুল মল্লিকের পুত্র মোঃ কামাল মল্লিক এর সাথে বিপিনপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন খানের কন্যা হালিমা বেগমকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে। সেখান থেকে কামালকে এনে জোর করে রাশিদার বন্দোবস্তকৃত ০.০৩ শতক জমিতে ঘর তোলো দেয়। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ আনসার উদ্দিন তদন্ত প্রতিবেদনেে উল্লেখ করেন, ভুমি ব্যবস্হাপনা ম্যানুয়াল পর্যালোচনায় করে বলেন, অন্য জেলারবাসিন্দা হয়ে কলাপাড়া উপজেলায় কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত পাবার কোন সুযোগ নৈই। গত ১৬. ০১.২০১৭ স্ণারক ৩১.১০.৭৮০০.০০৯.০৬.০৩৪.১৬-৮০ প্পরতিবেদন দেন। পরে রাশিদা বেগম কোন উপয়ান্তর না পেয়ে গত ১৪/১২/২০১৬ তারিখে অপসরনের জন্য আবেদন করলে সহকারী কমিশনার (ভুমি) কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস গত ১০ জানুয়ারী২০১৭ স্ণারক নং ৩১.১০.৭৮৬৬.৭১০.১০.০০১.১৬-৩২ মোতাবেক মোঃ কামাল মল্লিককে অবৈধভাবে তোলা স্হাপনা নিজ খরচে ৭ দিনর মধ্যে সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।অন্যথায় তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা মোতাবেক THE GoVERNMET AND LOCAL AUTHORITY LANDS AND BUILDINGS ( RECOVERY OF POSSESSION ORDINANCE, 1970 এর-5 ধারা মোতাবেক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে। এ খবর পেয়ে কামাল মল্লিকের দলবল রাশিদা বেগমকে উৎখাত করার পায়তারায় নানা ভাবে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। সর্বশেষ ২ রা মার্চ সোমবার স্হানীয় মেম্বার আঃ ছোবাহান হাওলাদার, বিউটি বেগম উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ দলবল নিয়ে দিন ভর জমি মাপ দিয়ে রাশিদা বেগমের বন্দোবস্তকৃত জমি সরকারী অফিসারদের জমির সীমানা সরিয়ে দেয়। পরের দিন মঙ্গলবার রাতে রাশিদার প্রতিপক্ষ মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে। এ ব্যাপারে রাশিদা বেগম মহিপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের বিষয় থানা কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় রোববার কলাপাড়া জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কামাল মল্লিক(৩৬), মোঃ রফেজ হাওলাদার (৬১), মোঃ আলতাফ হোসেন খান (৪১), মোঃ হারুন ( ২৬), মোঃ রাসেল খান (২৩)সহ আট জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামী কামাল মল্লিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির আদেশ প্রদান করেন। অপরদের বিরুদ্ধে সমন জারীর নির্দেশ দেন।
এ খবর আসামীরা জানতে পেয়ে রাশিদা বেগমকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন। বর্তমানে রাশিদা বেগম তার দু- পুত্র নিয়ে আসামীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply