সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠুঃ বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয়েছে ১০০ কেজি ধানের বীজ। প্রায় ৮ একর জমিতে চাষ করে বপন করা যেত এই ধানের চারা। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের আনিপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ বিষয় ভুক্তভোগী হাজী রফিকুল ইসলাম মৃধা বিজ্ঞ আদালতের স্থীতিবস্থা আদেশ অমান্য করার দায় সোমবার ১৯ আগষ্ট মো. রেজাউল করিম মৃধার বিরুদ্ধে কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের আনিপাড়া মৌজায় ১৯৮০ সালে ১০.৬৪ একর জমি নিলাম সূত্রে ক্রয় করেন রফিকুল ইসলাম মৃধা। পরবর্তীতে ১ একর জমি বিক্রি করেন এবং ২.৬৪ একর ভ‚মি পানিউন্নয়ন বোর্ড অধিগ্রহন করে। বাকি ৭ একর জমি দীর্ঘ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছেন তিনি। ২০১৫ সালে ভূয়া কাগজ পত্র তৈরি করে মো. রেজাউল করিম মৃধা আদালতে একটি বন্টন মামলা দায়ের করেন। যা উভয় পক্ষের কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে ২০২৩ সালে আদালত রেজাউল করিম মৃধার বিরুদ্ধে স্থীতিবস্থা আদেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে রফিকুল ইসলামের জমিতে রেজাউল করিম তার লোকজন নিয়া চাষাবাদ শুরু করে এতে বাধা দিলে তার আড়াই মন ধানের বীজ ঔষধ ছিটিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে।
ভুক্তভোগী হাজী রফিকুল ইসলাম মৃধা বলেন, মো. রেজাউল করিম মৃধার আমার সৎ ভাই। আমন ধানের চাষাবাদের মৌসুম শেষে তার বীজ গুলো নষ্ট করার কারনে এখন তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ধানের চারা সংকটে এখন তার জমি অনাবাদি হয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি এর সঠিক বিচারের দাবি জানান।
অভিযুক্ত রেজাউল করিম মৃধা জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যে ও বানোয়াট। বর্নিত জমির মূল মালিকানা আমাদের পিতা হাজী মরহুম মোক্তার হোসেন মৃধা। তিনি জিবিত থাকা অবস্থায় ৪.৩২ একর জমি আমার নামে দলিল করে দেন।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply